এক-এগারোর কুশীলবরা এই সরকারের ঘাড়েও চেপে বসেছে : গয়েশ্বর রায়

‘সেনা সদরে সভা করার পর সেনাপ্রধান কিছু আশঙ্কা প্রকাশ করে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে বলেছেন। তিনি রাষ্ট্র দখল, সরকার দখল, ক্ষমতা দখলের কথা বলেন নাই।’

এরশাদ আলী, খুলনা ব্যুরো

Location :

Khulna
বক্তব্য রাখছেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
বক্তব্য রাখছেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায় |নয়া দিগন্ত

এক-এগারোর কুশীলবরা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ঘাড়েও চেপে বসেছে বলে মন্তব্য করে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, তারা বিএনপিকে ক্ষমতায় যেতে দেবে না বলে পণ করেছে।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) খুলনায় বিএনপির সদস্য নবায়ন ও সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

খুলনা প্রেসক্লাবের ব্যাংকুয়েট হলে বিএনপি খুলনা বিভাগের উদ্যোগে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।

জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বর না জুনে হবে তা পরিষ্কার করার জন্য অন্তবর্তী সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘কিছু পত্র-পত্রিকা ও সুশীল বুদ্ধিজীবী ষড়যন্ত্র করে ওয়ান-ইলেভেন সৃষ্টি করেছিল। এক এগারোর কুশীলবরা এই সরকারের ঘাড়ে চেপে বসেছে এবং বিরাজনীতিকরণের চক্রান্ত করছে বলে ধারণা। তারা সদ্য ভূমিষ্ঠ একটি দলকে গুরুত্ব দিচ্ছে। কিন্তু বিএনপিকে ক্ষমতায় যেতে দেবে না বলে পণ করেছে। বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য পাগল নয়। কিন্তু জনগনের ভোটের অধিকার জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘সেনা সদরে সভা করার পর সেনাপ্রধান কিছু আশঙ্কা প্রকাশ করে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে বলেছেন। তিনি রাষ্ট্র দখল, সরকার দখল, ক্ষমতা দখলের কথা বলেন নাই। সেন্ট মার্টিন, ট্রানজিট, মানবিক করিডোর ইত্যাদি সেনসেটিভ ইস্যুতে নির্বাচিত সরকার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার সংসদের মাধ্যমে হতে পারে। হাসিনা ১৫ বছর ক্ষমতায় ছিল, তখন তো সেনাবাহিনীকে এভাবে কথা বলতে হয় নাই।’

‘আগে এক রকম ষড়যন্ত্র ছিল, এখন ষড়যন্ত্রের রূপ ভিন্ন। কিন্তু ষড়যন্ত্র থামে নাই। ৫ আগস্টের আগে আমরা একমত হয়েছিলাম। কিন্তু এখন মতামত ভিন্ন। বিএনপি আগে জাতীয় নির্বাচন চায়, কেউ চায় আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন। কিন্তু আমাদের দাবি নির্বাচন হোক,’ বলেন তিনি।

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘হাসিনা যদি দিল্লিতে পালিয়ে থেকে নির্বাচন করে, আর জনগণ তাকে ভোট দেয়, আমি তাকে মেনে নেবো। কারণ সেটা জনগণের রায়।’

বক্তব্যে তিনি জামায়াতেরও কিছু সমালোচনা করেন।

কর্মসূচিতে আরো বক্তব্য রাখেন এবং উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনা, বাগেরহাট জেলা আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার আকরাম হোসেন তালিম, সদস্য সচিব মোজাফফর আলম, সাতক্ষীরা জেলা আহ্বায়ক রহমত উল্লাহ পলাশ, সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু, যশোর জেলা সভাপতি সাবেরুল হক সাবু, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, নড়াইল জেলা সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম, ঝিনাইদহ জেলার আহ্বায়ক এম এ মজিদ, কুষ্টিয়া জেলার সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন সরকার, মেহেরপুর জেলার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আমিরুল ইসলাম, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, মাগুরার আহ্বায়ক আলী আহমেদ, সদস্য সচিব মনোয়ার হোসেন, খুলনা জেলার আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু।