টাকা না দেয়ায় নোয়াখালীর প্রেমিকার আপত্তিকর ছবি, ভিডিও বিভিন্ন চ্যাটিং গ্রুপ ও অনলাইনে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কোম্পানি কমান্ডার মো: মুহিত কবীর সেরনিয়াবাত। এর আগে, গতকাল বুধবার রাত সোয়া ৯টার দিকে ঢাকার আশুলিয়ার দোসাইদ এলাকা থেকে র্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী ও র্যাব-৪, সিপিসি-২, সাভার, ঢাকা’র যৌথ আভিযানিক দল তাকে গ্রেফতার করে।
র্যাব-১১ জানায়, গ্রেফতার সবুজ খান (৩৫) রংপুর জেলার দেবীগঞ্জ থানার বানিয়াপুর গ্রামের লুৎফুর রহমানের ছেলে। ভিকটিম নোয়াখালীর তরুণী ও আসামি সবুজ খানের মধ্যে ফেসবুকে পরিচয়, পরে মোবাইলে বন্ধুত্ব হয়। বন্ধুত্বের সুবাদে সবুজ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভিকটিমের সাথে হোয়াটসঅ্যাপ, ইমো ও ম্যাসেঞ্জারে অডিও ও ভিডিও কলে আপত্তিকর অবস্থায় কথা বলতে থাকে। ভিডিও কলে কথা বলার একপর্যায়ে সবুজ কৌশলে ভিকটিমের ভিডিও ধারণ করে। ওই ভিডিও বিভিন্ন অনলাইনে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে প্রেমিকার কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে। একপর্যায়ে ৫০ হাজার টাকা আদায় করে। পুনরায় আপত্তিকর ভিডিও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাড়ার হুমকি দিয়ে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন ধাপে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা আদায় করে এবং আরো ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা দাবি করে হুমকি দিতে থাকে। কিছু দিন টাকা না দেয়ায় সবুজ ভিকটিমের আপত্তিকর ছবি এবং ভিডিও বিভিন্ন চ্যাটিং গ্রুপ ও অনলাইনে ছেড়ে দেয়।
র্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কোম্পানি কমান্ডার মো: মুহিত কবীর সেরনিয়াবাত আরো বলেন, এ ঘটনায় ভিকটিম নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে আসামি পলাতক ছিল। জিজ্ঞাসাবাদে আসামি ঘটনার সাথে জড়িত বলে স্বীকার করে। আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঢাকার আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।



