বিচার ব্যবস্থাকে তৃণমূল পর্যায়ে আরো দ্রুত ও জনগণের কাছে সহজলভ্য করতে গ্রাম আদালতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (তৃতীয় পর্যায়) প্রকল্পের জাতীয় প্রকল্প পরিচালক সুরাইয়া আক্তার জাহান।
তিনি বলেন, ‘গ্রাম আদালত সাধারণ মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার প্রথম দরজা। দক্ষতা, জবাবদিহি ও সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে পারলে মামলা জট কমবে, গ্রামেই বিচার মিলবে, এটাই আমাদের লক্ষ।’
শনিবার (২৯ নভেম্বর) বিকেল ৩টার শেরপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে গ্রাম আদালতের বিকেন্দ্রীকৃত পরিবীক্ষণ, পরিদর্শন ও ডিএমআইই পদ্ধতি ভিত্তিক মূল্যায়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, আইন ও নীতিমালা বোঝার পাশাপাশি সেবার মনোভাব থাকা জরুরি।
উপজেলা-ইউনিয়ন পর্যায়ে গ্রাম আদালত সক্রিয় হলে মানুষ আর শহরে ছুটবে না। জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আন্তরিক হলে বিচারপ্রার্থীদের আস্থা বহুগুণ বাড়বে।
আরো উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব জিয়াউর রহমান, সিনিয়র সহকারী সচিব শওকত ওসমান, উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল মজিদ, জেলা প্রকল্প ম্যানেজার আহসান হাবীব নয়ন, উপজেলা সমন্বয়কারী মুশফিকুর রহমান, কুসুম্বী ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম পান্না, মির্জাপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম, শাহবন্দেগী ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, খানপুর ইউপি চেয়ারম্যান পিয়ার হোসেন পিয়ার, গাড়িদহ ইউপি চেয়ারম্যান তবিবর রহমান, খামারকান্দি ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাজেদুর রহমান মিলন, সুঘাট প্যানেল চেয়ারম্যান আবু হাসানসহ ১০ ইউনিয়নের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটররা।
উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ প্রশিক্ষণে গ্রাম আদালত সেবাকে আরো গতিশীল করার জন্য বিভিন্ন কৌশল, সমস্যা নির্ণয় ও মূল্যায়ন পদ্ধতি শেয়ার করা হয়।



