কুয়াকাটায় বেড়েছে মাদক ও অসামাজিক কর্মকাণ্ড, আতঙ্কে এলাকাবাসী

‘পতিতাবৃত্তি ও অসামাজিক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে শুধু পুলিশের উদ্যোগ যথেষ্ট নয়। এর জন্য এলাকার সাধারণ মানুষ, গণমাধ্যমকর্মী এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে একসাথে কাজ করতে হবে।

কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা

Location :

Patuakhali
কুয়াকাটায় বেড়েছে মাদক ও অসামাজিক কর্মকাণ্ড, আতঙ্কে এলাকাবাসী
কুয়াকাটায় বেড়েছে মাদক ও অসামাজিক কর্মকাণ্ড, আতঙ্কে এলাকাবাসী |নয়া দিগন্ত

সাগরকন্যা কুয়াকাটায় দিন দিন পতিতাবৃত্তি, মদ, গাঁজা ইয়াবাসহ নানা অসামাজিক কর্মকাণ্ড বেড়েই চলেছে। পর্যটননির্ভর এই এলাকাকে কেন্দ্র করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে পতিতাবৃত্তি ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

জানা গেছে, ভাসমান পতিতারা প্রতিরাতে কুয়াকাটার বিভিন্ন আবাসিক হোটেল ও কটেজে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে। তবে অধিকাংশ নারী আলিপুর মৎস্য বন্দরের আশেপাশের ভাড়া করা বাসা বা ফ্ল্যাটে বসবাস করেন। দিনভর এসব বাসায় অবস্থান করার পর রাতে দলবেঁধে হোটেলে গিয়ে পতিতাবৃত্তিতে জড়িয়ে পড়েন। আবার সকালে সেখান থেকে ফিরে আসেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এই অসামাজিক কার্যক্রম বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। বরং আলিপুরের কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় এসব নারী নির্ভয়ে বসবাস করে এবং তাদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন।

কুয়াকাটার পর্যটন ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি সমাজের তরুণ প্রজন্ম নৈতিক অবক্ষয়ের শিকার হচ্ছে। ভবিষ্যতে তরুণ সমাজ একেবারে ধ্বংসের দিকে ধাবিত হতে পারে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। তারা দ্রুত পতিতাবৃত্তি ও অসামাজিক কার্যক্রম বন্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে মহিপুর থানার ওসি (তদন্ত) অনিমেষ হালদার বলেন, ‘পতিতাবৃত্তি ও অসামাজিক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে শুধু পুলিশের উদ্যোগ যথেষ্ট নয়। এর জন্য এলাকার সাধারণ মানুষ, গণমাধ্যমকর্মী এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে একসাথে কাজ করতে হবে। সবাই এগিয়ে এলে এসব কার্যক্রম প্রতিহত করা সম্ভব, নাহলে পুলিশের পক্ষে একা বন্ধ করা কঠিন হবে।’