নরসিংদীর শিবপুরে শাকিল মিয়া (১৮) নামে এক যুবকের লাশ তার বাড়ির পাশের রাস্তা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, রাতে কোনো এক সময়ে দুর্বৃত্তরা তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বাড়ির পাশে ফেলে যায়।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শিবপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আফজাল হোসাইন।
নিহত শাকিল মিয়া শিবপুর উপজেলার যোশর ইউনিয়নের ছোটাবন্দের গিদার এলাকার মানিক মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শাকিল বুধবার (২৬ নভেম্বর) রাতে বাড়ির পাশের গাবতলি হাটে গিয়ে আর ফেরেনি। গভীর রাতে বাড়িতে ফিরে না আসায় বাড়ির লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি করে কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি। পরের দিন (বৃহস্পতিবার) সকালে বাড়ির পাশের রাস্তায় শাকিলের মা তাকে পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার করতে থাকেন। পরে তার চিৎকারে বাড়ির ও আশপাশের লোকজন দৌঁড়ে এসে তার লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। তাদের ধারণা, শাকিল রাতে গাবতলি হাট থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে বাড়ির পাশে ফেলে রেখে চলে যায়।
নিহতের বাবা মানিক মিয়া বলেন, ‘আমার ছেলে শাকিল প্রতিদিনের মতো গতকাল (বুধবার) রাতে বাড়ির পাশের গাবতলি হাটে গিয়ে আর ফেরেনি। গভীর রাত হলেও বাড়িতে না আসায় তাকে আমরা খোঁজাখুঁজি করি কিন্তু কোথাও পাইনি। পরে আজ সকাল ৬টায় জানতে পারি আমার ছেলেকে কে বা কারা হত্যা করে বাড়ির পাশের উঠানের রাস্তায় ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘সকালে তার মা প্রথমে তাকে ওই স্থানে পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার করতে থাকে। তার চিৎকারে আমিসহ আশপাশের লোকজন দৌঁড়ে এসে তার লাশ দেখতে পাই। পরে বিষয়টি শিবপুর মডেল থানার পুলিশকে জানানো হয়। আমার ছেলেকে সন্ত্রাসীরা হত্যা করে এখানে ফেলে রেখে চলে যায়। কে বা কারা হত্যা করেছে কিছুই বলতে পারব না।’
শিবপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আফজাল হোসাইন বলেন, ‘সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। লাশ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে দুর্বৃত্তরা তাকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে বা শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বাড়ির পাশে ফেলে রেখে চলে যায়। অভিযোগ এখনো পাইনি। রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য আমরা এ ব্যাপারে তদন্ত করছি।’



