কারাগারের দেয়াল খুঁড়ে পালানোর মস্ত পরিকল্পনা

কম্বল কেটে বানানো ২৮ ফুট লম্বা রশি ও ২৫ ফুট লম্বা একটি বেল্ট, লোহার তৈরি দুটি আংটা, ১০ ফুট লম্বা একটি খুঁটিসহ বিভিন্ন উপরকরণ জব্দ করা হয়।

মোহাম্মদ আলী ঝিলন, গাজীপুর

Location :

Gazipur
সংগৃহীত

গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ফাঁসির তিন আসামি পালানোর চেষ্টা করেছেন বলে জানা গেছে। এদিকে পালানোর প্রস্তুতির জন্য কারাগারের দেয়াল খুঁড়তে বিভিন্ন উপকরণ সংগ্রহ করেছিলেন তারা। পরে ঘটনা জানতে পেরে বন্দীদের কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে উপকরণগুলো জব্দ করে কারা কর্তৃপক্ষ।

ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাতে কারাগারের জেলার আসাদুর রহমান বাদি হয়ে কোনাবাড়ী থানায় একটি মামলা করেন।

কারাগার থেকে পালানোর চেষ্টা করা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দিরা হলেন- টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চৌবাড়িয়া গ্রামের শাহাদাত হোসেন, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার মাঝিনা গ্রামের শ্রী রনি মোহন্ত ও কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা গ্রামের নজরুল ইসলাম মজনু ওরফে মঞ্জু।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট রাত সোয়া ৮টার দিকে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে দায়িত্ব পালন করছিলেন সহকারী প্রধান রক্ষী মোখলেছুর রহমান। এ সময় তিনি তমাল ভবনের নিচ তলায় ১২ নম্বর কক্ষ থেকে দেয়ালে আঘাতের শব্দ শুনতে পান। পরদিন ৬ আগস্ট সকালে ওই কক্ষে তল্লাশি করে একটি লোহার পাত, দুই টুকরো রড, কম্বল কেটে বানানো ২৮ ফুট লম্বা রশি ও ২৫ ফুট লম্বা একটি বেল্ট, লোহার তৈরি দুটি আংটা, ১০ ফুট লম্বা একটি খুঁটিসহ বিভিন্ন উপরকরণ জব্দ করা হয়।

এ বিষয়ে বন্দিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা কারা কর্তৃপক্ষকে জানান, জেল থেকে পালানোর জন্য প্রস্তুতির সহায়ক উপকরণ হিসেবে উদ্ধারকৃত মালামাল তারা সংগ্রহে রেখেছেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তারা জেল থেকে পলায়ন করতেন অথবা পলায়নের সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন।

এদিকে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সারাদেশের কারাগারগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপির) কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিন বলেন, হাই সিকিউরিটি কারাগারের জেলার ওই ঘটনায় মামলা দায়ের করেছেন।