বিজিবির চট্টগ্রাম দক্ষিণ পূর্ব রিজিয়নের, রিজিয়ন কমান্ডার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সোহেল আহমেদ বলেছেন, ‘সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় বিএসএফ কর্তৃক কোনো ধরনের পুশ ইন সহ্য করা হবে না। বাংলা ভাষী ভারতীয় নাগরিকদেরকে বাংলাদেশী আখ্যা দিয়ে অবৈধভাবে সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশ ইন করা কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না।’
রোববার (৫ অক্টোবর) চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ছোট ফরিংগা বিওপি উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।
ব্রিগেডিয়ার সোহেল বলেন, ‘চট্টগ্রাম এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের যে সব জায়গায় সীমান্তে কাঁটা তারের বেড়া দেয়া হয়নি সীমান্তবর্তী সে সব জায়গা দিয়ে পুশ ইন সহ সকল প্রকার সীমান্ত চোরাচালান কঠোর হাতে দমন করা হবে। পুশ ইন, সীমান্ত চোরা চালান, মাদক, গরু পাচারসহ সীমান্তে সকল প্রকার অপরাধ দমনে বিজিবি সর্বদা বদ্ধপরিকর।
এসময় বিজিবির গুইমারা সেক্টর কমান্ডার, কর্নেল মো: মিজানুর রহমান, রামগড় ৪৩ বিজিবির জোন কমান্ডার ও অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো: আহসান উল ইসলামসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিন মিরসরাই উপজেলার কয়লারমুখ সীমান্ত ফাঁড়ি থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে ফেনী নদীর তীরবর্তী ছোট ফরিঙ্গা নামক দুর্গম পাহাড়ী এলাকায় ৪৩ বিজিবির আওতায় ১২তম এ নতুন বিওপিটি উদ্বোধন করা হয়। এটি স্থাপনের ফলে মিরসরাই উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বদ্ধ, ঘেরামাড়া, ছোট ফরিঙ্গা, ফটিকছড়ির বাগান বাজার ও দাঁতমারা ইউনিয়নের প্রায় ৫ কিলোমটিার সীমান্তবর্তী এলাকা নিরাপত্তার আওতায় এসেছে। ছোট ফরিংগা বিওপিটি উদ্বোধনের ফলে এই দূরত্ব লাঘব হবে এবং এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা, মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধসহ সকল প্রকার সীমান্ত অপরাধ প্রতিরোধ করা রামগড় ব্যাটালিয়ন (৪৩) বিজিবি’র জন্য আরো সহজ হবে বলে জানান বিজিবির কর্মকর্তারা।
বিগত এক বছরে সীমান্তের নিরাপত্তা ও চোরাচালান প্রতিরোধকল্পে ছোট ফরিংঙ্গা বিওপিসহ সর্বমোট ১০টি নতুন বিওপি স্থাপন করা হয়েছে।
এদিকে ফেনী নদীর তীরে সীমান্তবর্তী দুর্গম এই পাহাড়ি এলাকায় ছোট ফরিঙ্গা বিওপিটি স্থাপনের ফলে সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারীদের নিরাপত্তা আরো একধাপ নিশ্চিত হয়েছে দাবি এই স্থানীয় বাসিন্দার।