দোহারে বিএনপি নেতা হারুন হত্যা : পুলিশের সামনে নানা প্রশ্ন

গত ১ জলাই সকালে হাঁটার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হলে পথে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের ছোঁড়া গুলিতে নিহত হন দোহার উপজেলার বাহ্রা গ্রামের বিএনপি নেতা ও শিক্ষক হারুন অর রশিদ।

শওকত আলী রতন, দোহার (ঢাকা)

Location :

Dohar
হারুন হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়া ৩ যুবক (ভিডিও ফুটেজ থেকে নেয়া)
হারুন হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়া ৩ যুবক (ভিডিও ফুটেজ থেকে নেয়া)

ঢাকার দোহার উপজেলায় চাঞ্চল্যকর হারুনর রশিদ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ষটি এখন এই অঞ্চলের মানুষের মুখে মুখে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নাকি আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে তা এখনো স্পষ্ট হয়নি।

গত ১ জলাই, বুধবার ভোর আনুমানিক ৬টার দিকে হাঁটার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হলে পথেই অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের ছোঁড়া গুলিতে নিহত হন দোহার উপজেলার বাহ্রা গ্রামের বিএনপি নেতা ও শিক্ষক হারুন অর রশিদ। এই হত্যাকাণ্ডের কোনো ক্লু পায়নি পুলিশ। হত্যার মোটিভ বের করতে মাঠে কাজ করছে পুলিশের একাধিক টিম। কিলিং মিশনে অংশ নেয়া অজ্ঞাত তিন যুবকের একটি ফুটেজ ভেসে বেড়ালেও এখনো পর্যন্ত তিন যুবককে সনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। কেন এই হত্যা? কারা ঘটিয়েছে এমন হত্যাকাণ্ড? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।

এদিকে ঘটনার সাথে সাথে মামলা না করার বিষয়ে নিহতের স্ত্রী নাহিদা পারভিন জানান, সবার সাথে আলোচনার মাধ্যমে একটি সঠিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে মামলা করা হলে ভালো হবে বিধায় মামলা করতে দেরি হয়েছে। পুলিশও এমন কথাই বলছে। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত আসামিরা ধরা পড়ুক। এলাকাজুড়ে হত্যাকাণ্ড নিয়ে কানাঘুষাও কম হচ্ছে না। রাজনৈতিক কারণে নাকি পদ্মার বালু নিয়ে ভাগাভাগি নিয়ে হত্যার শিকার হতে হলো প্রবীন এই নেতাকে তাও মানুষের সামনে খোলাসা হয়নি। জুলাই অভ্যুথানের পর থেকে হারুনুর রশিদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন।

পরিবার বলছে জনপ্রিয়তার কারণে ইর্ষান্বিত হয়ে তাকে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। নিহতের ছোট মেয়ে সাবিনা সুলতানা জানান, তার বাবা চেয়ারম্যান নির্বাচন করার কথা ছিল। প্রতিপক্ষ আমার বাবাকে শক্ত প্রতিযোগী মনে করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারে।

হত্যাকাণ্ডে তেমন কোনো মোটিভ না থাকায় হত্যাকাণ্ডের রসহ্য উদঘাটনে পুলিশ বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। দোহার থানা পুলিশকে সহযোগিতার জন্য র‌্যাব, পিবিআই এবং ডিবি পুলিশ ছায়া তদন্তে নেমেছে। শিগগিরই ধরা পড়বে আসামিরা এমনটাই বলছেন দোহার থানা পুলিশ।

দোহার থানার ওসি হাসান আলী বলেন, পরিবারেরর পক্ষ থেকে কেউ এখনো মামলা করতে আসেনি। আমরা চাই সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের জনগণের সামনে তুলে ধরা হবে। হত্যায় অংশ নেয়া তিন যুবক সনাক্তের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। দ্রুতই আসামিরাদের সামনে আনতে পারবো এজন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।