বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা: এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধানে কোথাও কি স্বৈরাচার হওয়ার কথা লিখা ছিলো। সংবিধানের তো কোনো দোষ নাই, দোষ হচ্ছে যারা রাতের ভোট দিনে করেছেন। যারা বিনা ভোটের নির্বাচন করেছেন। যারা আমি ডামির নির্বাচন করেছেন। নিজেরা কর্তৃত্ববাদী হয়েছেন।’
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মৌলভীবাজার শিল্পকলা অ্যাকাডেমিতে পৌর বিএনপির সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা: এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আজকে অনেকেই বলছেন- পিআর ছাড়া নাকি নির্বাচন হবে না? এবং পিআর ছাড়া নাকি শাসক স্বৈরাচার হয়ে যাবে। জনগণকে দেশের মালিক মনে না করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কতিপয় সদস্য আর প্রশাসন আর বিচার বিভাগের কিছু মানুষকে কব্জা করে দেশ শাসনের চেষ্টা করেছেন। দেশটাকে নিজেদের পৈত্রিক সম্পত্তির মতো ব্যবহারের চেষ্টা করেছেন। দোষ তো তাদের। দোষ তো সংবিধানের নয়। সংবিধানে তো খুব ভাল ভাল কথা লিখা ছিলো। সংবিধান স্বৈরাচার হতে বলে নাই। কিন্তু যারা ব্যবহার করেছেন, মানুষের অধিকারকে তারা তোয়াক্কা করেন নাই। যাদের জনগণের ভোটের প্রয়োজন পড়ে নাই। সেই মানুষগুলি নিজেরা কর্তৃত্ববাদী হয়েছেন। স্বৈরাচার হিসেবে নিজেদের আবির্ভূত করেছেন। কাজেই স্বৈরাচার যদি রুখতে হয় রাজনৈতিক যে মানসিকতা, রাজনৈতিক যে কালচার সেটার মধ্যে পরিবর্তন আনতে হবে।‘
তিনি বলেন, পিআর চান, খুব ভাল কথা। পিআরের কথা বলে জনগণের কাছে যান। জনগণকে বুঝান, জনগণ মেনে নিলে আলহামদুলিল্লাহ। জনগণ যে রায় দিবে, সবাই মেনে নেবে। বর্তমানে আলোচনা চলা অবস্থায়, ঐক্যমত কমিশন সবার সাথে কথা বলেছে, ওই সময় আপনারা রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়ে মাঠে চলে গেলেন। আপনারা কি চান, সংঘাতের দিকে কি যেতে চান। আলোচনার টেবিলকে কি অবিশ্বাস করতে চান। নাকি অন্য কিছু চান। নির্বাচন পিছিয়ে যাক সেটি চান?
মৌলভীবাজার পৌর বিএনিপর আহ্বায়ক সৈয়দ মমসাদ আহমদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী, সাবেক এমপি এম নাসের রহমান, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ুন ও সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপন। সম্মেলনে জেলা ও স্থানীয় বিএনপি নেতারা উপস্থিত ছিলেন।