বান্দরবানে আন্তর্জাতিক পর্ন কনটেন্টে জড়িত দম্পতি গ্রেফতার

২০২৪ সালের মে মাস থেকে তারা অনলাইনে সক্রিয় হন এবং এক বছরের মধ্যে শতাধিক ভিডিও প্রকাশ করে বিপুল দর্শক ও অনুসারী অর্জন করেন। শুধু একটি নয়, একাধিক অনলাইন প্ল্যাটফর্মে তারা কনটেন্ট প্রকাশ করতেন।

মিনারুল হক, বান্দরবান

Location :

Bandarban
আন্তর্জাতিক পর্ণ কনটেন্টে জড়িত দম্পতি বান্দরবানে গ্রেফতার
আন্তর্জাতিক পর্ণ কনটেন্টে জড়িত দম্পতি বান্দরবানে গ্রেফতার |নয়া দিগন্ত

আন্তর্জাতিক পর্নোগ্রাফি সাইটে কনটেন্ট প্রকাশ করে বাংলাদেশকে বিতর্কের মুখে ফেলে দেয়া দম্পতি মো: আজিম ও তার স্ত্রী বৃষ্টি অবশেষে গ্রেফতার হয়েছেন।

আজ সোমবার গভীর রাতে বান্দরবানের রোয়াংছড়ি বাস স্টেশন সংলগ্ন একটি ফ্ল্যাটে ঢাকার সিআইডির একটি দল অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।

জানা গেছে, শহরের উপকণ্ঠে ঠিকাদার সেন্টু মিন্টুর মালিকানাধীন ফ্ল্যাটে গত এক সপ্তাহ ধরে অবস্থান করছিলেন তারা। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হতেন না এবং স্থানীয়দের কেউই তাদের চিনতেন না। বাসা ভাড়া নেয়ার সময় বাড়ির মালিকের কাছ থেকে কোনো পরিচয়পত্র বা কাগজপত্রও জমা দেননি তারা।

সিআইডির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন খান জানান, আন্তর্জাতিক পর্নোগ্রাফি অঙ্গনে আলোচিত এই দম্পতির গতিবিধির ওপর দীর্ঘদিন নজর রাখা হচ্ছিল। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তাদের অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়।

আটক মো: আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের কোতোয়ালি এলাকায় এবং তার স্ত্রী বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জে বলে জানা গেছে।

এর আগে, তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে বসেই আন্তর্জাতিক প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্ট প্ল্যাটফর্মে সক্রিয় থাকার অভিযোগ ওঠে। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের ‘মডেল’ পরিচয়ে পরিচিত ছিলেন এবং বিশ্বের অন্যতম বড় ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিডিও প্রকাশ করে আলোচনায় আসেন।

গবেষণাভিত্তিক অনুসন্ধান প্ল্যাটফর্ম ‘দ্য ডিসেন্ট’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালের মে মাস থেকে তারা অনলাইনে সক্রিয় হন এবং এক বছরের মধ্যে শতাধিক ভিডিও প্রকাশ করে বিপুল দর্শক ও অনুসারী অর্জন করেন। শুধু একটি নয়, একাধিক অনলাইন প্ল্যাটফর্মে তারা কনটেন্ট প্রকাশ করতেন। পাশাপাশি টেলিগ্রাম, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামেও নিজেদের কার্যক্রম প্রচার করতেন।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালের মে মাসে তাদের নামে একটি টেলিগ্রাম চ্যানেল খোলা হয়, যেখানে কয়েক হাজার সদস্য যুক্ত হন। সেখানে নতুন ভিডিওর লিংক ও আয়ের স্ক্রিনশট নিয়মিত শেয়ার করা হতো।

অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, তরুণদের এই ইন্ডাস্ট্রিতে যুক্ত হওয়ার জন্য প্রলোভন দেখানো হতো।