পাবনার ঈশ্বরদীতে অবৈধ বালুমহলের টাকা ভাগাভাগি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে বালু উত্তোলন কাজে নিয়োজিত সাতজন শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পদ্মানদীর তীরবর্তী উপজেলার সাড়াঘাঁট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় মো. সেলিমকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার মধ্যেকার একটি বালি ঘাটের সাড়ে ৯ কোটি টাকায় ইজারা পেয়েছে মোল্লা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারি শহিদুল মোল্লার পক্ষের ইঞ্জিনিয়ার মো. কাকন। এদিকে ওই বালি ঘাটের বিপরীত সাইড সাড়াঘাঁটের ইজারা পেয়েছে ঈশ্বরদী উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সুলতান আলী বিশ্বাস টনি। সেই ঘাটেরই বালি উত্তোলন ও বালি বহনকারী নৌকার খাজনা আদায় করতে টনি বিশ্বাসের লোকজন মাঝ নদীর উত্তোলন চকিতে গেলে তাতে কাঁকন পক্ষের লোকজন বাঁধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি শুরু হয়।
এ ঘটনায় টনি বিশ্বাস পক্ষের সাতজন শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হন। তাদের ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
গুলিবিদ্ধ সাতজন হলেন- কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার চাঁদগ্রাম এলাকার মৃত জামবার আলীর ছেলে মোহাম্মদ সেলিম, একই এলাকার মৃত শুকুর আলীর ছেলে মোহাম্মদ সৈকত, মৃত ছানা সরদারের ছেলে মোহাম্মদ চপল হোসেন, হযরত আলীর ছেলে রিপন, গোলাপনগরের শাহিন আলমের ছেলে রাসেল, ঈশ্বরদীর রুপপুরের আব্দুল গফুরের ছেলে লালু, সাড়া গোপালপুর এলাকার সামাদ প্রামানিকের ছেলে সানাউল্লাহ। এর মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় সেলিমকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সুলতান আলী বিশ্বাস টনি বলেন, আমরা সরকারি অনুমোদন নিয়ে বালু উত্তোলন ও খাজনা আদায় করি। তাতে শহিদুল মোল্লা ও কাকনের লোকজন আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করেন।
অপর পক্ষের ইঞ্জিনিয়ার কাকনের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) সাহাদত হোসাইন খান জানান, বালু মহল বা পানি মহলের কেউ ইজারা পেয়েছেন কিনা আমার জানা নেই বিষয়টি ইউএনও মহোদয় বলতে পারবেন।