কুষ্টিয়ায় পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পদ্মার পানি বৃদ্ধিতে জেলার ভেড়ামারা, মিরপুর ও দৌলতপুর এলাকার অনেক নিচু স্থান প্লাবিত হয়েছে। নদীতে প্রবল স্রোত লক্ষ করা গেছে।
জেলার দৌলতপুর উপজেলার চর বাহিরমাদি এলাকার মানুষরা পানিবন্দী জীবনযাপন করছে।
কুষ্টিয়ায় পদ্মা নদীর পানি বিপৎসীমার এক মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পাবনা ওয়াটার হাইড্রোলজি বিভাগ। সোমবার সকাল ৯টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানি ১০ সেন্টিমিটার বেড়ে ১২ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার উচ্চতায় পৌঁছেছে। এই পয়েন্টের বিপৎসীমা ১৩ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার।
পানি বাড়তে থাকায় দৌলতপুর উপজেলার নদীপাড়ের নিম্নাঞ্চল ও চরের আবাদি জমি প্লাবিত হয়েছে। অনেক স্থানে চলাচলের রাস্তা ডুবে যাওয়ায় স্থানীয়রা দুর্ভোগে পড়েছেন। যদিও এখনো বসতবাড়ি প্লাবিত হয়নি, তবে বন্যার আশঙ্কায় রয়েছেন নদীসংলগ্ন চার ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ।
উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ও চিলমারী ইউনিয়নের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পানিতে প্লাবিত ১৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস বন্ধ রয়েছে।
উপজেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, ইতোমধ্যে ২৪৩ হেক্টর জমির ধান, কলা, সবজি, মরিচ ও ভুট্টা নষ্ট হয়েছে।
চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান জানান, ‘আজকে নতুন করে পানি বেড়েছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকায় মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।’
পাবনা ওয়াটার হাইড্রোলজি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদুজ্জামান জাহিদ বলেন, ‘পদ্মায় প্রতিদিন পানি বাড়ছে। তবে তা কতদিন অব্যাহত থাকবে বলা যাচ্ছে না।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড কুষ্টিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদুল ইসলাম জানান, ‘ভারতের কয়েকটি বাঁধ ছেড়ে দেয়ায় পদ্মায় পানির চাপ প্রবল। ইতোমধ্যে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকার নিম্নাঞ্চলে পানি উঠছে। কুষ্টিয়ায় বিপৎসীমার নিচে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ১৪ আগস্ট থেকে পানি কমার সম্ভাবনা রয়েছে। এখনি আতঙ্ক বা আশঙ্কাজনক কোনো পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হচ্ছে না।’
পদ্মার পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে শাখা নদী গড়াইয়ের পানিও গত কয়েকদিনে বৃদ্ধি পেয়েছে। নদীকূলবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি উঠছে। কুষ্টিয়া শহরের নদীকূলবর্তী রেনইউক বাঁধ সংলগ্ন এলাকার মানুষরা পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।