নগরকান্দায় কমে গেছে পাটের উৎপাদন

‘পাট আমাদের গ্রামের ঐতিহ্য। কিন্তু এখন পাট চাষে আগের মতো লাভ নেই। সরকার যদি বীজ ও সার ভর্তুকি বাড়ায় এবং পাটের দাম স্থিতিশীল রাখে, তাহলে হয়তো কৃষকরা পাট চাষে আগ্রহী হবে।’

কাজী আফতাব হোসেন, নগরকান্দা (ফরিদপুর)

Location :

Faridpur
নগরকান্দায় কমে গেছে পাটের উৎপাদন
নগরকান্দায় কমে গেছে পাটের উৎপাদন |নয়া দিগন্ত

ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার লস্করদিয়া ইউনিয়নের জুঙ্গুরদি মৌজায় এ বছর পাটের উৎপাদন গত বছরের তুলনায় প্রায় অর্ধেকে কাছাকাছি এসেছে।

বুধবার (২৩ জুলাই) নগরকান্দা উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসের আয়োজনে স্থানীয় কৃষক দেলোয়ার হোসেনের জমিতে পাট ফসলের নমুনা কর্তন করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসের পরিসংখ্যান তদন্তকারী (এসআই) মো: রায়হান মোল্যা, চেইনম্যান শ্রাবণী এবং উপসহকারী পাট কর্মকর্তা মো: জাহাঙ্গীর আলম।

কৃষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রতিবছর এই মৌসুমে আমার জমি থেকে যে পরিমাণ পাট পাওয়া যেতো, এ বছর তার অর্ধেকও হয়নি। প্রতিকূল আবহাওয়া, বৃষ্টির অভাব এবং চাষাবাদের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে উৎপাদন খরচ বেড়েছে । এ বছর আমরা পাট চাষ করে লাভের মুখ দেখার পরিবর্তে ক্ষতির মুখে পড়ছি।’

কৃষক নজরুল ইসলাম জানান, ‘এ বছর প্রতি বিঘা জমিতে উৎপাদন ৭-৮ মণ হওয়ার কথা থাকলেও আমরা ৩-৪ মণ পাটও পাইনি। বীজ, সার ও কীটনাশকের দাম অনেক বেড়ে গেছে। তাছাড়া আবহাওয়াও অনুকূলে ছিল না। আমরা সরকারের কাছ থেকে কার্যকর সহায়তা চাই।’

কৃষক কামাল হোসেনের অভিযোগ, ‘পাটের দামও ঠিকমতো পাচ্ছি না। চাষ করতে গিয়ে অনেক খরচ হয়েছে, কিন্তু উৎপাদন কমে যাওয়ায় সেই খরচই ওঠানো কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। সরকার যদি পাটের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত না করে, তাহলে পাট চাষে কৃষকের আগ্রহ কমে যাবে।’

অন্যদিকে কৃষক ফেলু ভুইঁয়া বলেন, ‘পাট আমাদের গ্রামের ঐতিহ্য। কিন্তু এখন পাট চাষে আগের মতো লাভ নেই। উৎপাদন অর্ধেকে নেমে যাওয়ায় আমাদের জীবনযাত্রায় প্রভাব পড়ছে। সরকার যদি বীজ ও সার ভর্তুকি বাড়ায় এবং পাটের দাম স্থিতিশীল রাখে, তাহলে হয়তো কৃষকরা পাট চাষে আগ্রহী হবে।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা তিলক কুমার ঘোষ জানান, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় এবং অসময়ে অতিবৃষ্টিপাতের করণে অপরিপক্ক পাট কেটে ফেলানোর কারণে ফলন কম হয়েছে।