কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে আলাউদ্দিন (৫৫) নামে সাবেক এক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গুলি করা হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এসময় ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে আলাউদ্দিনের ভাতিজা নুর মোহাম্মদ জনির (৪৫) পিঠে সন্ত্রাসীরা চুরিকাঘাত করে।
রোববার (৩ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১২টার দিকে আজিয়ারা-আলিয়ার সড়কের আলিয়ারায় দক্ষিণ পশ্চিম পাড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।
আলাউদ্দিন আলিয়ারা দক্ষিণ পশ্চিম পাড়ার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মৃত সুরুজের ছেলে।
পরে হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে শেখ ফরিদ নামে একজনের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
নিহত আলাউদ্দিনের ভাতিজা নুর মোহাম্মদ জনির স্ত্রী দেলোয়ারা আক্তার মুন্নী বলেন, রোববার সকলে সাড়ে ১২টার দিকে আলাউদ্দিন তার চাচাতো ভাই আবুল বাশারের জানাজা শেষে তার বাড়ির সামনে এলে দুটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে এসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে ৪/৫ জন এবং আলিয়ারা গ্রামের দুলালের ছেলে রিয়াদ, আবুল খায়েরের ছেলে শেখ ফরিদ এবং ছালেহ আহম্মদ ছেলে নুর উদ্দিন তাকে ঘেরাও করে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে মারধর করে সিএনজিতে তুলে নিয়ে যায়। পরে নাঙ্গলকোট-ঢালুয়া-চিওড়া বিশ্বরোড সড়কের চান্দাইশ আবুল খায়ের মাস্টারের বাড়ির সামনে আলাউদ্দিনকে হত্যা করে লাশ ফেলে চলে যায়।
এর আগে গত ১৩ জুলাই ও ২৫ জুলাই সাবেক ইউপি সদস্য ছালেহ আহম্মদ ও খায়ের আহম্মদ গোষ্ঠীর মধ্যে গরু ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে দু‘দফায় সংঘর্ষ এবং ২০টি বাড়িঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এসময় দু‘গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ১৫ জন গুলিবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হয়।
পুলিশের নাঙ্গলকোট-চৌদ্দগ্রাম সার্কেলের এএসপি নিশাত তাবাসসুম বলেন, ‘ঘটনাটি জানার পর আমরা ঘটনাস্থলে এসে নিহত আলাউদ্দিনের পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলেছি। যারা এ ঘটনার সাথে জড়িত এসম্পর্কে এখনো পর্যন্ত সুর্নির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে আমরা তথ্য সংগ্রহ করছি। এ ব্যাপারে অবশ্যই থানায় মামলা হবে। সুরতহাল রিপোর্ট চলমান রয়েছে।’
তিনি আরো জানান, ‘লাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে। নিহত আলাউদ্দিনের মাথার পিছনে আঘাত রয়েছে। মামলা তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে যারা ঘটনার সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’