বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ‘দেশে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন ও পুনরুত্থান চক্রান্ত দেশকে অস্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। সেনাবাহিনী, পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সামনেই রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ছাত্রদেরকে উস্কে দিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করাটা উদ্বেগজনক।’
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিকেলে খানজাহান আলী থানা জামায়াতে ইসলামীর অফিস চত্বরে ফুলতলা-ডুমুরিয়ার নির্বাচনী দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
অধ্যাপক গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘বিমান দুর্ঘটনায় জাতি যখন রাষ্ট্রীয় শোক পালন করছে ঠিক সে সময় সেটাকে ইস্যু বানিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে নৈরাজ্য সৃষ্টি করার অপচেষ্টা প্রতিহত করার দায়িত্ব সরকার এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে পালন করতে হবে।’
তিনি আধিপত্যবাদী শক্তি, বিভিন্ন এজেন্সিসহ দেশীয় অপশক্তির এই অপপ্রচেষ্টার বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতাকে ২৪ এর জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
নির্বাচনী এলাকা কমিটির আহ্বায়ক মুন্সী মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা অঞ্চলের নির্বাচন বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাস্টার শফিকুল আলম।
সদস্য সচিব অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুসের পরিচালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন খুলনা জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মুন্সী মইনুল ইসলাম, প্রিন্সিপাল গাওসুল আযম হাদী, মাস্টার শেখ সিরাজুল ইসলাম, অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা আল মুজাহিদ, জেলা ছাত্রশিবির সভাপতি আবু ইউসুফ ফকির, ডুমুরিয়া উপজেলা আমির মাওলানা মোক্তার হোসেন, ফুলতলা উপজেলা আমির অধ্যাপক আব্দুল আলিম মোল্যা, খানজাহান আলী থানা আমির ডা: সৈয়দ হাসান মাহমুদ টিটো, ডুমুরিয়া উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, খানজাহান আলী থানা সেক্রেটারি গাজী মোর্শেদ মামুন ।
গোলাম পরওয়ার আরো বলেন, ‘পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানুষ এখন বিকল্প শক্তির সন্ধান করছে। তারা এখন জামায়াতে ইসলামীকেই বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে। মূলত জামায়াত এদেশের প্রাচীন, আদর্শবাদী, গণতান্ত্রিক, দায়িত্বশীল ও গণমুখী রাজনৈতিক দল। আমরা দেশ ও জাতির যেকোনো ক্রান্তিকালে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। আমাদের কর্মীদের আমরা ১২ মাসই নৈতিক শিক্ষা দিয়ে থাকি। দায়িত্ব ও নেতৃত্বদানের উপযোগী করে গড়ে তুলি। সততা ও আমানতদারীতা আমাদের রাজনীতির মূলধন।’
জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, ‘দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থেই দেশে রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন আনতে হবে। এজন্য পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হওয়া দরকার। এ পদ্ধতির নির্বাচন চালু হলে দেশে হুন্ডা, গুন্ডা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, ব্যালট বাক্স ছিনতাই ও কেন্দ্র দখল বন্ধ হবে। ন্যায় ইনসাফের প্রতীক দাঁড়িপাল্লার বিজয় হলে আল্লাহর আইন সৎ লোকের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে ইনশাআল্লাহ।