সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মামা-মামি ও মামাতো বোন হত্যার দায়ে ভাগনে রাজিব কুমার ভৌমিককে (৩৬) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসাথে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
রোববার (২০ এপ্রিল) দুপুর ৩টার দিকে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা ও জেলা জজ আদালত-৩-এর বিচারক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান এ কারাদণ্ডের আদেশ দেন। আদালতের স্টেনোগ্রাফার মো: শরিফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওই আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট হামিদুল ইসলাম দুলাল বলেন, ‘আসামি ২০২৪ সালের ৯ ডিসেম্বর উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেয়ার পর থেকে পলাতক রয়েছেন। গ্রেফতারের পর সাজা কার্যকর করা হবে।
দণ্ডপ্রাপ্ত রাজিব কুমার ভৌমিক সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার তেলিপাড়া গ্রামের পরলোকগত বিশ্বনাথ ভৌমিক ও প্রমিলা রানী ভৌমিকের ছেলে। তিনি হত্যার শিকার বিকাশ সরকারের আপন ভাগনে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, টাকা-পয়সা লেনদেনকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বের জেরে ২০২৪ সালের ২৭ জানুয়ারি সিরাজগঞ্জের তাড়াশ পৌর এলাকার বারোয়ারি বটতলা মহল্লার বাসিন্দা বিকাশ সরকার (৪৫), তার স্ত্রী স্বর্ণা রানী সরকার (৪০) ও মেয়ে তাড়াশ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী পারমিতা সরকার তুষিকে (১৫) গলাকেটে হত্যা করেন রাজীব (৩৪)। রাজীব বিকাশ সরকারের আপন ভাগনে। এ ঘটনায় নিহত স্বর্ণা রানী সরকারের ভাই শ্রী সুকমল চন্দ্র সাহা অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে তাড়াশ থানায় মামলা করেন।
পরে মোবাইল থেকে পাওয়া মামা-ভাগনের কথোপকথনের সূত্র ধরে রাজিবকে আটক করে সিরাজগঞ্জ ডিবি পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেন এবং আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ রাজিব কুমার ভৌমিককে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে তাকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করে আদালত।