চুয়াডাঙ্গায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার নামে ব্যবহৃত বিষাক্ত স্পিরিট পান করে ছয়জনের মৃত্যু ঘটনায় পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ, সাইবার ইনভেস্টিগেশন সেল ও ডিবির যৌথ অভিযানে মাদক বিক্রির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এই দুইজনকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় ব্যবহৃত ১১৭ বোতল অ্যালকোহল স্পিরিট উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন ঝিনাইদহের রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামের মৃত পুটি মণ্ডলের ছেলে ফারুক হোসেন ওরফে অ্যালকো ফারুক (৪০) ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার খেজুরা গ্রামের মৃত বাকী শেখের ছেলে জুমাত আলী (৪৬)। ফারুককে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝিনাইদহের নিজ বাড়ি থেকে, আর জুমাতকে গত বুধবার বিকেলে খেজুরা গ্রাম এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) জামাল আল নাসের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে ছয়জনের মৃত্যুর ঘটনায় লাল্টু মিয়ার ভাই বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) জামাল আল নাসের বলেন, ৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আমরা অভিযুক্তদের মধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করেছি। বাকী অপরাধীদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলমান রয়েছে। তিনি আরও বলেন, গ্রেফতারকৃত ফারুক স্বীকার করেছেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে লাইসেন্সবিহীনভাবে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় ব্যবহৃত অ্যালকোহল বা স্পিরিট বিক্রি করে আসছিলেন।
গত ১০ অক্টোবর রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ বাজার এলাকায় কয়েকজন মিলে স্পিরিট পান করেন। এরপর একে একে পাঁচজনের মৃত্যু হয়। তবে ১২ অক্টোবর চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। তারপর পুলিশ ঘটনার তদন্তে নামে।