ভোলার বোরহানউদ্দিনে নিজ পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অফিস সহকারী মাসুমা বেগম।
রোববার (২৭ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে জানাজা শেষে তাকে নিজ পারিবারিক কবরস্থান দাফন করা হয়।
এর আগে গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জাতীয় বার্ন ও সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এরপর হাসপাতালের ছাড়পত্র পেয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার নিজ বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড়মানিকা ইউনিয়নের কোড়ালিয়া গ্রামে এসে লাশ পৌঁছায়।
মাসুমা ওই গ্রামের মো: সেলিম রুন্দির স্ত্রী। তারা ঢাকার তুরাগ থানার শুক্রভাঙ্গা এলাকার নয়ানগরে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। মাসুমা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অফিস সহকারী ও তার স্বামী বায়িং হাউজে কাজ করতেন বলে জানা গেছে।
এদিকে মাসুমার লাশ তার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছানোর পর একনজর দেখতে ভিড় জমান শোকাহত এলাকাবাসী ও স্বজনরা।
তার স্বামী সেলিম জানান, দুর্ঘটনার দিন মাসুমা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে কর্মরত ছিলেন। খবর পেয়ে তিনি হাসপাতালে ছুটে গিয়ে জানতে পারেন আগুনে দগ্ধ হয়ে তার শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে। এরপর টানা পাঁচ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে গতকাল তিনি মারা যান।
তিনি আরো জানান, ঘটনার দিন স্কুলটি ছুটি হওয়ার পর মাসুমা বাচ্চাদের নিয়ে বের হচ্ছিলেন। এমন সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে। ইচ্ছে করলে সে বাহিরে এসে নিজের জীবন রক্ষা করতে পারতেন। কিন্তু আমাদেরও বাচ্চা আছে সেই চিন্তা থেকে অন্য বাচ্চাদের বাঁচাতে গিয়ে মাসুমা আগুনে দগ্ধ হয়ে শেষ পর্যন্ত মারা গেলেন।