বাগেরহাটে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা কেটে নেয়া আসন বহালের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) জেলা ও উপজেলা নির্বাচন অফিস দুপুর ১টা পর্যন্ত ঘেরাও করা হয়। তবে এখনো নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়নি। আসন ফিরে পেতে উচ্চ আদালতে রিট করেছেন আন্দোলনকারীরা।
এদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিভিন্নস্থান থেকে মিছিল নিয়ে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে এসে জড়ো হতে থাকে। আন্দোলনকারীরা নির্বাচন অফিসের প্রধান গেট ঘিরে রাখে। আর এ কারণে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিসে প্রবেশ করতে পারেনি। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোর জন্য নির্বাচন অফিসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
দুপুর ১টায় শেষ হয় ঘেরাও কর্মসূচি। তবে নতুন কর্মসূচি পরে জানানোর কথা বলেছেন সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতৃবৃন্দ।
এ সময়ে আসন ফিরিয়ে দেয়ার দাবিতে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির আহ্বায়ক বিএনপি নেতা এম এ সালাম, সদস্য সচিব জামায়াত নেতা শেখ মোহাম্মদ ইউনুস আলী, সরদার লিয়াকত আলী, মঞ্জরুল হক রাহাদসহ অনেকে বক্তৃতা করেন।
কমিটির আহ্বায়ক এম এ সালাম জানান, দুপুরের ঘেরাও কর্মসূচি শেষে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। দুর্গাপূজা ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থের বিষয়টি চিন্তা করে হরতালের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। এর আগে তিনদিনের হরতালের কর্মসূচি দেয়া হয়েছিল। আশা করছি আদালতের মাধ্যমে ন্যায্য বিচার পাবো।
উল্লেখ্য, গত ৩০ জুলাই দুপুরে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রায় অর্ধশত বছর ধরে চলে আসা বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কেটে নিয়ে তিনটি আসন করার প্রাথমিক প্রস্তাব দেয়া হয়। এরপর থেকেই বাগেরহাটবাসী আন্দোলন শুরু করে। চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন বাগেরহাটবাসী।
এরপরেও ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু উপজেলাগুলো পরিবর্তন করে তিনটি আসন বহাল রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে। নির্বাচন কমিশনের এই আসন বিন্যাস গণমানুষের দাবিকে উপেক্ষা করায় ফুঁসে উঠে বাগেরহাটের মানুষ।