ব্রাহ্মণবাড়িয়া আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস নিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ

রোববার সকাল ১০টা থেকে বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা এলাকায় সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের আহ্বানে এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে।

মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

Location :

Brahmanbaria
ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেছেন স্থানীয়রা
ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেছেন স্থানীয়রা |নয়া দিগন্ত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসে অসন্তোষ প্রকাশ করে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেছেন স্থানীয়রা। এতে সড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে, ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।

রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা এলাকায় সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের আহ্বানে এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসন থেকে বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর, চান্দুরা ও বুধন্তী ইউনিয়নকে বাদ দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সাথে যুক্ত করে প্রথমে খসড়া তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এরপর থেকেই বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন তারা। এ নিয়ে কমিশনের শুনানিতে বিএনপি নেত্রী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা ও এনসিপি নেতা মো: আতাউল্লাহর গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। পরে গত ৪ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত গেজেটে হরষপুর ইউনিয়কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে রাখা হলেও চান্দুরা ও বুধন্তী ইউনিয়নকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে যুক্ত করা হয়। এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজয়নগরবাসী।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, স্বাধীনতার পর থেকে তিতাস পূর্বাঞ্চলের ১০টি ইউনিয়ন উন্নয়নে বঞ্চিত হয়ে আসছে। এবার উপজেলাকে দ্বিখণ্ডিত করার মাধ্যমে আরো অবহেলার শিকার করা হচ্ছে। তারা বলেন, প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি উন্নয়ন থেকেও বঞ্চিত হবেন চান্দুরা ও বুধন্তীর মানুষ। তাই তারা দ্রুত ইউনিয়ন দুটিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে পুনর্বহালের দাবি জানান।

বিজয়নগর সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট ইমাম হোসেন বলেন, ‘বিজয়নগরকে ছোট করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আমরা অখণ্ডিত বিজয়নগর চাই। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’

অবরোধ চলাকালে বিজয়নগর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, ‘অবরোধে যাতে কোনো গাড়ির ক্ষতি না হয় সেজন্য আমরা সতর্ক রয়েছি। যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।’

অবরোধ কর্মসূচিতে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।