ভারীবৃষ্টি ও উজানের ঢলে লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি গত ৮ বছের মধ্য সর্বোচ্চ বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার পর পানি ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও এখনো রয়েছে বিপৎসীমার উপরে ফলে লালমনিরহাটের পাঁচটি উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হওয়ায় বন্যা দেখা দিয়েছে।
রোববার (৫ অক্টোবর) রাতে তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫২.৫০ সেন্টিমিটার যা বিপৎসীমার ৩৫ সে:মি ওপর প্রবাহিত হয় এর ফলে তিস্তার পানির চাপ কমাতে ব্যারেজ এলাকার ৪৪টি জলকাপাট খুলে দেয়া হলেও তিস্তা ব্যারেজের বামতীরে অবস্তিত ফ্লাটবাইবাস সড়কের ওপর দিয়েও পানি সারারাত প্রবাহিত হয় এর ফলে জেলার পাঁচ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পরেছেন।
আজ সোমবার সকাল ৬টায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দীর্ঘ সময় তিস্তার পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার ফলে লালমনিরহাটের নিম্নাঞ্চলগুলোতে পানি প্রবেশ করায় হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুরনা, ডাউয়াবাড়ি, পাটিকাপাড়া, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ও সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর ইউনিয়নের বহু গ্রামের নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়ে ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
পানিতে ডুবে আছে গ্রামীন কাচা, পাকা রাস্তা, সবজি ক্ষেত, রোপা আমন ক্ষেত, পাট ক্ষেত। ভেসে গেছে অনেকের পুকুরের মাছ। প্রতিষ্ঠানে পানি উঠায় কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ। অনেকে গরু, ছাগল নিয়ে আশ্রয় নিয়েছে বাঁধ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও উচু স্থানে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার জানান, পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে বাঁধ ভেঙ্গে পানি যাতে লোকালয়ে প্রবেশ না করে সেজন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের গঠিত টিম সর্বাত্মক পর্যবেক্ষণ করছেন, পানি কমে যাওয়ার পরেও ভাঙ্গন দেখা দিলে পর্যাপ্ত জিও ব্যাগ রয়েছে বলেও জানান তিনি।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচএম রকি হায়দার বলেন, বন্যার্ত এলাকার খোঁজখবর ও তালিকা করার জন্য পাঁচ উপজেলা নির্বাহী অফিসারদেরকে তিনি নির্দেশ প্রদান করেছেন সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখতে।