নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের কালনী হিরনাল এলাকায় সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত স্থানীয় যুবদল নেতা শান্ত সরকার (২৪) সোমবার সকালে মৃত্যুবরণ করেছেন।
সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবিতে সোমবার বিকেলে এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি এশিয়ান বাইপাস সড়কের রূপগঞ্জ মাঝিপাড়া এলাকা প্রদক্ষিণ শেষে সমাপ্ত হয়।
পুলিশ জানায়, গত ১১ এপ্রিল বিকেল ৫টায় দাউদপুরের জিন্দা এলাকায় মোটরসাইকেলে যাওয়ার পথে হিরনাল আলহাদী শাহ মাজারের পাশে শান্ত সরকার সন্ত্রাসীদের কবলে পড়ে। ২৫ থেকে ২৬ সদস্যের একদল সন্ত্রাসী ছেনদা, লোহার হাতুড়ি, রামদা, লোহার রড, লাঠি, চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তার মোটরসাইকেল গতিরোধ করে। এরপর তারা শান্ত সরকারের পুরো শরীর হাতুড়ি দিয়ে জখম করে। এরপর তার মোটরসাইকেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। একপর্যায়ে শান্ত সরকারের ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে সন্ত্রাসীরা তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে শান্ত সরকারকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সোমবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে শান্ত সরকারের চাচা ছালাউদ্দিন সরকার দাউদপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আসাদ ফকির (৪০), তার ভাই নাঈম ফকির (৩৭), রানা ফকির (৩৫), কালনী গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে রোকনউদ্দিন (৪০), গোলজার হোসেন মোল্লার ছেলে মামুন মিয়া (৩৫), বাগবাড়ি গ্রামের কুসুম মোল্লার ছেলে সিয়াম মোল্লা (৩০), হিরনাল গ্রামের নুরুল ইসলাম ফকিরের ছেলে অলিউল্লাহ (৫২), হাফিজুল্লাহ ফকির (৩৫), কালনী গ্রামের ওসমান মোল্লার ছেলে জুবায়ের মোল্লা (৩৫), জিন্দা গ্রামের আমজাদ আলীর ছেলে বাদল শিকদার (৪০), বীর হাটাবো গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে আতাউর মিয়া (৩৫), কালনী গ্রামের মজি মোল্লার ছেলে ফরহাদ মোল্লা (৪৫), পলখান গ্রামের বছির উদ্দিনের ছেলে শাহীন আকন্দ (৩৫), কালনী গ্রামের শাহজাহান সরকারের ছেলে নয়ন সরকার (৩৫), মহাসিন মোল্লার ছেলে ইয়াকুব মোল্লা (৪২), হিরনাল গ্রামের গিয়াসউদ্দিন ফকিরের ছেলে ইদ্রিস আলী ফকির (৫৫), পলখান গ্রামের আজিজ মিয়ার ছেলে জুয়েল আকন্দ (৩৫), হিরনাল গ্রামের রকমান কাজীর ছেলে কাজী জয়নালকে (৫৫) নামীয় ও অজ্ঞাত আরো ৭/৮জনকে আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, শান্ত সরকারের উপর হামলার ঘটনায় করা মামলা এখন হত্যা মামলায় পরিণত হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।