ব্রাকসু নির্বাচন হচ্ছে না ২৪ ডিসেম্বর, ভিসিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পদত্যাগ দাবি

‘নির্বাচনটা কমিশনের এখতিয়ারভুক্ত। ভোটার তালিকায় যদি কোনো ভুল থাকে সেটা আমরা সংশোধন করে দেবো। তাই বলে নির্বাচন কার্যক্রম বন্ধ রাখাটা সমীচীন নয় বলে আমি মনে করি।’

সরকার মাজহারুল মান্নান, রংপুর ব্যুরো
ব্রাকসু নিয়ে নির্বাচন কমিশনার ও শিক্ষার্থী পরিষদ প্যানেলের সংবাদ সম্মেলন
ব্রাকসু নিয়ে নির্বাচন কমিশনার ও শিক্ষার্থী পরিষদ প্যানেলের সংবাদ সম্মেলন |নয়া দিগন্ত

পূর্বঘোষিত ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হচ্ছে না বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। অন্যদিকে ব্যর্থতার অভিযোগে ভিসিসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পদত্যাগ দাবি করেছেন শিক্ষার্থী পরিষদের ভিপি প্রার্থী আলবীর।

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে ব্রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. মো: শাহজামান জানান, ‘ত্রুটি-বিচ্যুতি ঠিক করে প্রশাসন থেকে হালনাগাদ ভোটার তালিকা না দেয়ার কারণে পূর্বনির্ধারিত ২৪ ডিসেম্বর নির্বাচন করা সম্ভব নয়। শিক্ষার্থীদের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেছি। তারাও সম্মত হয়েছেন।’

তিনি আরো জানান, ‘ভোটার তালিকা সঠিক না থাকার কারণেই আমরা নির্বাচনী কার্যক্রম অঘোষিতভাবে বন্ধ রেখেছি। ঘোষণা দিলে যেহেতু প্রশাসন চাপে পড়ে যাবে সেজন্য আমরা ঘোষণা না দিয়ে বন্ধ রেখেছি।’

এদিকে নির্বাচনী কার্যক্রম বন্ধ রাখার প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে শিক্ষার্থী পরিষদের প্যানেল।

এ সময় ভিপি প্রার্থী আহমেদুল আলবীর বলেন, ‘একটি গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতেই প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন এই নাটক করছে। এই নাটকের অবসান চাই। সঠিক সময়ে নির্বাচন চাই। নির্বাচন বানচালের সাথে জড়িত ভিসিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পদত্যাগ চাই।’

আলবির আরো বলেন, ‘বর্তমান প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তাই জুলাই আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। তারা ব্রাকসুকে ভয় পান। কারণ ব্রাকসু হলে তারা আর অপকর্ম করতে পারবেন না, জুলাই বিপ্লবের বিরোধিতাকারী শিক্ষকসহ অন্যরা রক্ষা পাবেন না। সেকারণেই তারা ব্রাকসু নিয়ে বিপরীতমুখী অবস্থান নিয়েছেন। দ্রুত সব জটিলতা দূর করে নির্বাচনের ব্যবস্থা না করলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাব।’

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. এম শওকাত আলী জানান, ‘নির্বাচনটা কমিশনের এখতিয়ারভুক্ত। ভোটার তালিকায় যদি কোনো ভুল থাকে সেটা আমরা সংশোধন করে দেবো। তাই বলে নির্বাচন কার্যক্রম বন্ধ রাখাটা সমীচীন নয় বলে আমি মনে করি।’