পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তির কাছে মিলেছে ৮৪ হাজার ৬২৫ টাকা।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টায় দশমিনা ছাত্রদলের মানবিক সংগঠনের উদ্যোগে এক বছরের মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে গোসল করানোর সময় তার কাছ থেকে এ টাকা উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, মানসিক ভারসাম্যহীন ওই ব্যক্তি ৫ থেকে ৬ মাস ধরে দশমিনা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান শেষে দশমিনা সদর ইউনিয়ন পরিষদের নিচে এরশাদ হোসেনের চায়ের দোকানে সারা দিন-রাত অবস্থান করে আসছেন।
ভারসাম্যহীন ব্যক্তি সারাদিন মানুষের সাথে কথা না বলে বসে থাকেন। এ সময় স্থানীয়রা তার পরিচয় জানতে চাইলে তিনি শুধু বলতে পারতেন পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলায় ঘোষকাঠালীতে তার বাড়ি। কিন্তু তিনি কারো কাছ থেকে সাধারণ কোনো খাবার খেতেন না। তার খাবারের মেনু ছিল ভালো মানের মাঠা, একপ্লেট ভাত, দশ প্লেট গরুর মাংস, দশ পিস মাছ, দশ পিচ মুরগির রোস্ট- এসব খাবার যে তাকে খাওয়াতো তার কাছ থেকেই শুধু খেতেন। তার শরীরে সবসময় ছিলো মোটা কাপড় আর মাথায় ছিল বড় চুলের জট।
দশমিনা ছাত্রদলের মানবিক সংগঠনের উপদেষ্টা আবুল বশার বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তাকে চুল কেটে, গোসল করিয়ে ভালো জামা কাপড় পরিয়ে তার চাহিদা অনুযায়ী খাবার খাওয়ানে। এরপর তার কাছে থাকা দুইটি বস্তা থেকে ৮৪ হাজার ৬২৫ টাকা পাওয়া যায়। মানুষিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির থেকে উদ্ধার করা টাকা দশমিনা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ছাত্রদলের মানবিক সংগঠনের উপদেষ্টা ছাত্রদল নেতা মো: আবুল বশার জানান, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আমরা ওনার কাছে গিয়ে গোসল করাই এবং খাওয়ার ব্যবস্থা করি। এ সময় তার থেকে টাকাগুলো পাই। এরপরে আমরা নগদ টাকাসহ তাকে থানায় হস্তান্তর করেছি।
এ বিষয়ে দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আলিম জানান, আমি খুলনায় ছিলাম, তবে খোঁজখবর নিয়ে দেখব।