নওগাঁর ৫ কলেজের মোট ৩৬ জন শিক্ষার্থীর সবাই এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে অকৃতকার্য হয়েছে। ফল প্রকাশের দিনটি অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের জন্য ছিল আনন্দের হলেও ওই কলেজগুলোতে নেমে এসেছে এক ভয়াবহ হতাশার ছায়া। এ নিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে এইচএসসি ও মাদরাসা পর্যায়ে আলিমসহ সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হলে এ তথ্য পাওয়া যায়।
জেলার ডিসি কার্যালয়ের সূত্র জানায়, নওগাঁর ৮৬টি কলেজ থেকে এ বছর মোট ১৪ হাজার ৫৭৮ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে ৪৩৯ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো জেলার পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৩৬ জনের কেউই উত্তীর্ণ হতে পারেনি।
ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, মান্দা উপজেলার মান্দা এসসি পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজের নয়জন পরীক্ষার্থীর সবাই ফেল করেছে এবং ভারশো হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের একমাত্র পরীক্ষার্থীও ফেল করেছে। নিয়ামতপুর উপজেলার শাংসইল আদিবাসী স্কুল অ্যান্ড কলেজের চিত্র আরো হতাশাজনক। তাদের ২৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে তিনজন অনুপস্থিত, আর বাকি ২০ জনই অকৃতকার্য। একই চিত্র বদলগাছী উপজেলার বালুভরা আরবি হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের। তাদেরও চারজন পরীক্ষার্থীর সবাই ফেল করেছে। এছাড়া আত্রাই উপজেলার সাহেবগঞ্জ টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের চারজন পরীক্ষার্থীর মধ্যে দু’জন অনুপস্থিত ছিলেন, আর উপস্থিত দু’জনই ফেল করেছেন।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শাহাদৎ হোসেন বলেন, ‘জেলার পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৩৬ জনের কেউই উত্তীর্ণ হতে পারেনি। এমন ফলাফল অত্যন্ত হতাশাজনক ও উদ্বেগের বিষয়। এসব প্রতিষ্ঠানের ফলাফল আমরা গভীরভাবে বিশ্লেষণ করব। শিক্ষার মান উন্নয়নে বিশেষ উদ্যোগ ও যত্নবান হতে নানা পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
তিনি আরো জানান, ‘যেসব প্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিকভাবে খারাপ ফল হচ্ছে সেখানে শিক্ষকদের উপস্থিতি, পাঠদানের মান ও শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পরিবেশ নিয়ে তদন্ত চালানো হবে।’