পরকীয়া প্রেমিকার হাতে খুন হন আলমগীর, মাসহ অভিযুক্ত আটক

‘আমার স্বামী সোনিয়ার কাছে ১২ লাখ টাকা পাবে। টাকা দিবে বলে সোনিয়া ফোন করে আমার স্বামীকে বাসায় নিয়ে খুন করে। সোনিয়া ওই ঘটনায় নিজে দায় স্বীকার করলেও এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত কারো সম্পৃক্ততা রয়েছে কিনা তা স্পষ্ট করেনি। কিন্তু ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা মোবাইলে সূত্র ধরে পুলিশ ধারণা করছে, এ ঘটনায় আরো কেউ জড়িত রয়েছে।’

চাঁদপুর প্রতিনিধি
নিহত আলমগীর, আটক হওয়া অভিযুক্ত মা ও মেয়ে
নিহত আলমগীর, আটক হওয়া অভিযুক্ত মা ও মেয়ে |ছবি : নয়া দিগন্ত

চাঁদপুরে শাহরাস্তি মনিপুর গ্রামের প্রবাসী আবুল হোসেন মানিকের বাসার ছাদে দিনমজুর আলমগীর হোসেনকে (৩৫) জবাই করে হত্যা করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে শাহরাস্তি থানা পুলিশ।

সোমবার (১৭ মার্চ) রাতেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে বাড়ির মালিক প্রবাসী মানিকের স্ত্রী খোদেজা বেগম ও তার মেয়ে আলমগীরের পরকীয়া প্রেমিকা মাহমুদা আক্তার সোনিয়াকে আটক করা হয়। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদে সোনিয়া এ হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন।

আলমগীরের স্ত্রী তাছলিমা বেগম জানান, আমার স্বামী সোনিয়ার কাছে ১২ লাখ টাকা পাবে। টাকা দিবে বলে সোনিয়া ফোন করে আমার স্বামীকে বাসায় নিয়ে খুন করে। সোনিয়া ওই ঘটনায় নিজে দায় স্বীকার করলেও এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত কারো সম্পৃক্ততা রয়েছে কিনা তা স্পষ্ট করেনি। কিন্তু ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা মোবাইলে সূত্র ধরে পুলিশ ধারণা করছে, এ ঘটনায় আরো কেউ জড়িত রয়েছে।

সোনিয়া জানান, আলমগীরের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। তবে আলমগীর তাকে বিভিন্ন সময়ে শারীরিক সম্পর্কের জন্য উত্ত্যক্ত করত। এ ক্ষোভের কারণেই আলমগীরকে হত্যা করেছি। হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে। উপজেলার চিতোষী বাজার থেকে ১২ টাকায় হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি কেনা হয়। সেই ছুরি দিয়েই এলোপাতাড়িভাবে আলমগীরকে আঘাত করে হত্যা করা হয়।

হত্যাকাণ্ডের সহযোগিতা করার অপরাধে সোনিয়ার মা খোদেজা বেগমকে (৫০) পুলিশ আটক করেছে। এদিকে আলমগীরের বড় ভাই রফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে মামলা করেছেন। শাহরাস্তি থানা পুলিশ মা ও মেয়েকে চাঁদপুর কোর্টে পাঠিয়েছে।

চাঁদপুরের শাহরাস্তি থানার ইনচার্জ (ওসি) আবুল বাসার জানান, ‘আলমগীর হোসেনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্যে পাঠানো হয়েছে। ওই ঘটনায় প্রবাসী আবুল হোসেনের স্ত্রী ও মেয়েকে আটক করে কোর্টে পাঠানো হয়েছে। আদালতে আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’