ঢাকা সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের কমলাপুর এলাকার বাহেরটেক গ্রামে অভিভাবকহীন শিশু ও বৃদ্ধদের প্রতিষ্ঠান চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ারের কর্ণধার আলোচিত মিল্টন সমাদ্দার মানবপাচার মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মানবপাচার আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তাকে খালাসের এ আদেশ দেন।
এর আগে ২০২৪ সালের ১ মে গ্রেফতার হওয়ার পরদিন ২ মে মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে মানবপাচারসহ ৩টি মামলা করা হয়।
জানা যায়, মানবপাচার মামলার ঘটনাটি ৩ বছর ৭ মাস আগে সঙ্ঘটিত ছিল। মামলার বাদি মো: রাকিব পরিত্যক্ত অভিভাবকহীন ভিকটিম নবজাতক ফুহাদ এর সন্ধানদাতা। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ৯ তারিখে রাজধানীর শেরে বাংলানগর থানা সংলগ্ন ফুটপাতে পরিত্যক্ত বাচ্চাটিকে দেখতে পেয়ে মিল্টন সমাদ্দারের হাতে তুলে দেন এবং ১০ হাজার টাকা অনুদান দেন। বিজ্ঞ আদালত ভিকটিমের পালিত বাবা জসিম উদ্দিন ও মা সুমীসহ বেশ কয়েকজন সাক্ষ্য গ্রহণ করেন এবং শিশুটিকে আদালতে উপস্থাপন করা হয়। আদালত শিশুটির কথা শোনেন ও তার বাবা-মাকে শনাক্ত করেন। মামলার নথি যাচাই করে আদালত দেখতে পান মিল্টন সমাদ্দারের প্রতিষ্ঠান থেকে ২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট দেবাশীষ চন্দ্র অধিকারী নিঃসন্তান দম্পতি জসিম উদ্দিন ও সুমীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উক্ত নবজাতক বাচ্চাটি লালনপালন করতে দেন এবং বিষয়টি প্রমাণিত হয়।
মিল্টন সমাদ্দারের আইনজীবী ওহিদুজ্জামান বিপ্লব জানান, ‘দীর্ঘ শুনানিতে মানবপাচারের কোনো ঘটনা ঘটেনি প্রমাণিত হলে মানবপাচার আদালতের বিজ্ঞ বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন আসামি মিল্টন সমাদ্দারকে বেকসুর খালাস দেন।’