মানিকগঞ্জে বিল্লাল হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড

মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাবিনা ইয়াসমিন আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

মো: শাহানুর ইসলাম, মানিকগঞ্জ

Location :

Manikganj
পারভেজ হোসেন ওরফে সুমন শেখকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত
পারভেজ হোসেন ওরফে সুমন শেখকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত |নয়া দিগন্ত

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলায় টেইলার্স (দর্জি) বিল্লাল হোসেন হত্যা মামলায় পারভেজ হোসেন ওরফে সুমন শেখকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসাথে ৫০ হাজার টাকা অনাদায়ে দু’বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাবিনা ইয়াসমিন আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

এ সময় মামলার আরেক আসামি আলীম হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ৩০ হাজার টাকা অনাদায়ে দু’বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আসামিরা হলেন মানিকগঞ্জের শিবালয়ের দক্ষিণ খানপুর এলাকার এখলাছ মাতব্বরের ছেলে পারভেজ হোসেন ওরফে সুমন শেখ এবং একই এলাকার শহিদ বেপারীর ছেলে আলীম হোসেন।

নিহত বিল্লাল হোসেনের বাড়ি শিবালয়ের কাক্কোল এলাকায়। তিনি স্থানীয় মাচাইন বাজারে টেইলার্সের পাশাপাশি একটি এনজিওতে কাজ করতেন বলে জানা গেছে।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বিল্লাল হোসেনের মেয়েকে বিয়ে প্রস্তাব দেয় পারভেজ হোসেন ওরফে সুমন শেখ এবং বিয়ের প্রস্তাবে বাজি না হওয়ায় বিল্লাল হোসেনকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরে ওই ঘটনার জেরে ২০১৬ সালের ২ নভেম্বর রাতে স্থানীয় মাচাইন বাজারে দোকানের কাজ শেষ করে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন বিল্লাল হোসেন। গভীর রাতে বাড়িতে না ফেরায় তার পরিবারের সদস্যরা তাকে খোঁজ খুঁজি শুরু করে। এরপর রাত সাড়ে ১২টার দিকে হরিরামপুরের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে বিল্লাল হোসেনের রক্তাক্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আফরোজা বেগম পারভেজ হোসেন ওরফে সুমন শেখ ও আলীম হোসেনসহ চারজনকে আসামি করে হরিরামপুর থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আশিষ কুমার সান্যাল তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ১৫ মার্চ এক শিশুসহ তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন।

এরপর উভয়পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শেষে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় আসামিদের উপস্থিতিতে আদালতের বিচারক এ রায় প্রদান করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি বুলবুল আহমেদ গোলাপ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, মামলায় অভিযুক্ত তিনজনের মধ্যে একজন শিশু হওয়ায়, শিশু আদালতে তার বিচার চলছে। আর দু’জনের রায় দিয়েছেন আদালত।

তবে রায়ের বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী মো: আজিজ উল্লাহ ও আব্দুর রাজ্জাকের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

আসামি আলিমের পক্ষের আইনজীবী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘এই মামলায় যে রায় ঘোষণা করেছে তাতে আসামি সুবিচার পাননি। আমরা এই ন্যায়বিচারের জন্য এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব বলে জানান তিনি।’