নওগাঁয় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সুনিধির আশরাফ (১৭) ও হৃদয় হোসেন (১৭) নামের দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় সাদনান সাকিব (১৭) নামে আরো এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ জুন) সন্ধ্যার আগে মহাদেবপুর ও পত্নীতলা উপজেলার মাঝামাঝি পার্বতীপুর মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন মহাদেবপুর উপজেলার মাস্টারপাড়া এলাকার বেথুল আশরাফের ছেলে ও একটি পলিটেকনিক কলেজের ছাত্র সুনিধির আশরাফ এবং একই এলাকার আখতারুজ্জামানের ছেলে ও এবারের এসএসসি ফলপ্রার্থী হৃদয় হোসেন। আহত সাদনান সাকিব একই এলাকার শাহাজান আলীর ছেলে ও মহাদেবপুর কলেজের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ‘নিহত ও আহত শিক্ষার্থীরা হলেন তিন বন্ধু। তারা বাড়ি থেকে নজিপুর বাজারে বেড়াতে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে মহাদেবপুর ও পত্নীতলা উপজেলার মাঝামাঝি পার্বতীপুর মোড়ে আসেন। এ সময় ওই স্থানে রাস্তার ধারে একটি বাস দাঁড়িয়ে ছিল। তাদের মোটরসাইকেলের গতি অনেক বেশি থাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ওপর দাঁড়ানো ওই বাসের পেছনে সজোরে ধাক্কা লাগে। ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেলটি বাসের বাঙ্কার ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে যায়। সেখানেই সুনিধির আশরাফের মৃত্যু হয়। সংবাদ পেয়ে দমকল সদস্যরা নিহত আশরাফসহ আহতদেরকে উদ্ধার করে পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। সেখানে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুনিধির আশরাফকে মৃত ঘোষণা করেন এবং অপর দু’জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। তবে রাজশাহী যাবার সময় পথিমধ্যে হৃদয় হোসেনের মৃত্যু হয়।’
পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো: এনায়েতুর রহমান বলেন, ‘সুনিধির আশরাফ ঘটনাস্থলেই মারা যায়। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় এবং তাদের অনুরোধে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং আহত হৃদয় হোসেনকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় পথে তার মৃত্যু হয়।’