কক্সবাজার বঙ্গোপসাগরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে উপকূলের জেলেরা মাছ শিকারে যেতে না পারায় বাজারে ইলিশের সরবরাহ কমে গেছে। ভরা মৌসুমে ইলিশের দেখা নেই। এতে করে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ।
রোববার (২০ জুলাই) সকালে শহরের বাহার ছড়া বাজার ও বড়বাজারে গিয়ে দেখা যায়, তিন থেকে চারজন বিক্রেতা অল্প ইলিশ নিয়ে বসেছেন। এক কেজি ওজনের মাছের দাম ছিল তিন হাজার টাকা। এক কেজির চেয়ে কিছুটা কম ওজনের ইলিশও বিক্রি হচ্ছে আড়াই হাজার টাকা দরে।
ঈদগাঁও বাজারের মাছ ব্যবসায়ী আবদুস ছালাম মৌলভী ও কাউছার বৈদ্য বলেন, অন্য মাছ কিছুটা মিললেও ইলিশ মাছ পাওয়া যাচ্ছেনা। তাই দাম বেড়ে গেছে।
কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের আড়তদার আবদুল কাইয়ুম জুয়েল জানান, নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার প্রায় দেড় মাস পরেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে ফিশিং ট্রলার সাগরে যেতে পারছে না। বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে কিছু ট্রলার সাগরে গেলেও আহরিত ইলিশ ঢাকাসহ দেশের নানা প্রান্তে অগ্রিম টাকা প্রদানকারী দাদনদারদের কাছে চলে যাওয়ায় কক্সবাজারে সুস্বাদু এ মাছের সঙ্কট প্রকট আকার ধারণ করেছে।
ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, কিছু ট্রলার ঝুঁকি নিয়ে সাগরের কাছাকাছি গিয়ে জাল ফেলে ছোট আকৃতির লইট্যা, ফাইস্যা, ছুরিমাছ ধরে আনলেও ইলিশের দেখা নেই।
অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা জেলা মৎস্য অফিসার সুজয় পাল বলেন, এখন ইলিশের মৌসুম। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগরে ঠিকমতো মাছ ধরতে পারছেন না জেলেরা।
তিনি আরো জানান, গত বছর জেলায় মাছ ধরা পড়েছিল দু’লাখ ৪৯ হাজার মেট্রিক টন। এর মধ্যে ইলিশ ছিল ৩৫ হাজার ৮০০ টন। চলতি বছর ৩৬ হাজার টন ইলিশ ধরার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। বৈরী পরিবেশের কারণে সাগরে ট্রলার নামতে না পারলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান এই মৎস্য কর্মকর্তা।