অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

যশোর পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি ও সেক্রেটারির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা

আসামিরা সংখ্যালঘুদের ওপর ‘কথিত’ নির্যাতনের বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা তথ্য প্রচার করেন। তাদের এসব বক্তব্যের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানো হয়, যা দেশের স্থিতিশীলতা ও সংবিধান পরিপন্থী।

এম আইউব, যশোর অফিস

Location :

Jessore Sadar
যশোর পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি-সেক্রেটারির বিরুদ্ধে মামলা
যশোর পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি-সেক্রেটারির বিরুদ্ধে মামলা |নয়া দিগন্ত

রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে যশোর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে।

বুধবার (১৪ মে) মামলাটি করেন মানবাধিকার সংগঠন ‘রাইটস যশোর’র নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক।

অভিযোগ আমলে নিয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রহমত আলী কোতোয়ালি থানার ওসিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

আসামিরা হলেন- যশোর শহরের নলডাঙ্গা রোডের তারাপদ দাসের ছেলে ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপঙ্কর দাস রতন এবং খালধার রোডের ফটিক চন্দ্র ঘোষের ছেলে ও পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার ঘোষ।

আগামী ১৪ জুলাই এ মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন বিচারক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী সুদীপ্ত কুমার।

মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিরা বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারে আমলে আওয়ামী লীগের নেতা ও ক্ষমতাধর ব্যক্তি ছিলেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের শেষ দিনে আওয়ামী লীগ সরকার প্রধান দেশ ছেড়ে পলিয়ে যান। এরপর রাষ্ট্রপতি সাংবিধানিকভাবে সংসদ বিলুপ্ত করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করেন। আসামিরা এতে সন্তুষ্ট না হয়ে নতুন সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের মনে বিদ্বেষ সৃষ্টির ষড়যন্ত্র শুরু করেন। তারই ধারাবাহিকতায় তারা সরকারের বিরুদ্ধে ঘৃণা, সহিংসতা উস্কে দেয়ার লক্ষ্যে সাম্প্রদায়িক হামলার মিথ্যা তথ্য দিয়ে লিফলেট তৈরি করে বিলি, সমাবেশে বক্তব্য ও সামাজিক মাধ্যমসহ মিডিয়ায় উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান করেন। তারা বিভিন্ন সভা-সমাবেশে ও লিফলেটের মাধ্যমে সংখ্যালঘুদের ওপর ‘কথিত’ নির্যাতনের বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা তথ্য প্রচার করেন। তাদের এসব বক্তব্যের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানো হয়, যা দেশের স্থিতিশীলতা ও সংবিধান পরিপন্থী। আসামিরা বিভিন্ন সময় উল্লেখ করেন, নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর সংখ্যালঘুদের ওপর দমনপীড়ন বেড়েছে। প্রশাসন নিষ্ক্রিয়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে হস্তক্ষেপ করতে হবে। এ ধরনের বক্তব্য ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়। এমনকি তাদের এসব বক্তব্য প্রচার হয় ভারতীয় গণমাধ্যমেও। যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও পূর্বপরিকল্পিত। পরবর্তীতে আসল ঘটনা জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকার অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে আসে।

আসামিদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড দেশের সার্বভৌমত্ব, সংহতি এবং শৃঙ্খলার প্রতি হুমকি। দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট ও দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র দৃষ্টিগোচর হওয়ায় বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক আদালতে এ মামলা করেছেন।