জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় সংগঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এ রায়ে উল্লাস করছে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা। এতে খুশি হয়ে উপজেলার পৌর বাজারে মিষ্টি বিতরণ করেছেন তারা।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যারপর উপজেলার সদরে আনন্দ মিছিলের পর পৌর বাজারে এ মিষ্টি বিতরণ করেন তারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসানুর রহমান সজিব বলেন, ‘দীর্ঘদিনের বহুল আলোচিত ঘটনার বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে যে প্রত্যাশা ছিল, আজ তার একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে। জুলাইয়ের ঘটনাসহ গত ১৭ বছরের বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে দেশবাসীর মনে যে বেদনা ও ক্ষোভ ছিল, এই রায় তার একটি প্রতিফলন বলে আমরা মনে করি। ১৬ শতাধিক মানুষের প্রাণহানির বিষয়টি জাতিকে গভীরভাবে মর্মাহত করেছে এবং তাদের প্রতি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।‘
আমরা আশা করি, পরবর্তী সব আইনি প্রক্রিয়াও স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন হবে। পলাতক অভিযুক্তকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে এনে আইনের আওতায় আনার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি, যাতে রায়ের কার্যকর বাস্তবায়ন নিশ্চিত হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময়ে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড সংক্রান্ত মামলার যে রায় এসেছে, আমরা এটিকে ন্যায়বিচারের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখি। আমাদের দাবি, অন্তর্বর্তী সরকার যেন আন্তর্জাতিক আইন ও চুক্তি অনুসরণ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট অভিযুক্তদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করে, যাতে বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হতে পারে।’
আমরা বিশ্বাস করি, এই পদক্ষেপ জুলাইয়ের ঘটনার প্রতি জনগণের ন্যায়বিচারের আকাঙ্ক্ষা পূরণে সহায়ক হবে। একই সঙ্গে সেই সময় প্রাণ হারানো শহীদসহ দেশের পক্ষে আত্মত্যাগকারী সকলের আত্মার প্রতি ন্যায় প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হবে।
এদিকে রায় প্রকাশের পর পরই উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আমিরুল ইসলাম ভূঞা মনির নেতৃত্বে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড দ্রুত কার্যকর করার দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যার পর উপজেলা প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক এইচ এম মাজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে একই দাবিতে বিক্ষোভ করেছে উপজেলা ও পৌর জামায়াত।