রাজশাহীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। দিবসটি উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে রাজশাহী মহানগর বিএনপি।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকাল ৭টার দিকে রাজশাহীর দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও সাবেক এমপি মিজানুর রহমান মিনু। এ সময় বেলুন, ফেস্টুন ও পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপির বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, মহানগর বিএনপির সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন, কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক সহ-সম্পাদক শফিকুল হক মিলন, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটনসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা।
অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বলেন, ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস শুধু বিএনপির নয়, এটি পুরো জাতির গৌরবের দিন। এই দিন থেকেই বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবিত হয়। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে আমরা শহীদ জিয়ার আদর্শ, দেশপ্রেম ও গণতান্ত্রিক চেতনা ছড়িয়ে দিতে চাই।’
পরে বিকেল ৩টার দিকে আয়োজন করা হয় বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা।
দলীয় সূত্র জানায়, শনিবার (৮ নভেম্বর) রক্তদান ও রোববার (৯ নভেম্বর) বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের এই দিনে আধিপত্যবাদী শক্তির সব ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে সিপাহী-জনতা রাজপথে নেমে এসেছিল। এরপর থেকে দিনটি জাতি পালন করে আসছে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার শপথ গ্রহণ এবং সামরিক বাহিনী ও জনগণের ঐক্যের প্রতীক হিসেবে।



