জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসের শূরা সদস্য, সিলেট জেলা আমির ও সিলেট-১ আসনের জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী মাওলানা হাবিবুর রহমান বলেছেন, ‘জামায়াতের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়েই সিলেটের দুই জামায়াত নেতাকে পরিকল্পিতভাবে সাদাপাথর লুটকাণ্ডে জড়ানো হয়েছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডে দুই নেতা দূরে থাক, জামায়াতের কোনো পর্যায়ের কর্মী সমর্থকেরও ন্যূনতম কোনো সম্পর্ক নেই। পাথর লুটপাটের জন্য আসল দায়ী প্রশাসন। আর যারা দায়ী তাদের চিহ্নিত করা প্রশাসনের কাজ। কিন্তু কতিপয় হলুদ মিডিয়া দুদকের কথিত একটি রিপোর্টের সূত্র ধরে জামায়াত নেতাদের চরিত্র হরণে মেতে উঠেছে। দুদককে অবশ্যই এর প্রমাণ দিতে হবে। অন্যথায় তাদেরও সিলেটবাসীর কাছে জবাবদিহি করতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে সাদাপাথর লুটের ঘটনায় উদ্দেশ্যমূলকভাবে সিলেট জামায়াত নেতৃবৃন্দকে নিয়ে ষড়যন্ত্র, অপপ্রচার ও মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সিলেট মহানগর জামায়াত আয়োজিত মিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এদিকে মিছিলটি বৈরী আবহাওয়া ও বৃষ্টি উপেক্ষা করে নগরীর কোর্টপয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট প্রদক্ষিণ শেষে চৌহাট্টা পয়েন্টে গিয়ে সমাপ্ত হয়।
মিছিল পূর্ব সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের পতন হলেও জামায়াতকে নিয়ে ষড়যন্ত্র এখনো বন্ধ হয়নি। পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা জামায়াতকে কলুষিত করতে ঘৃণ্য খেলায় মেতে উঠেছে। প্রশাসন এবং রাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থা ও অ্যাজেন্সিতে এখনো স্বৈরাচারের দোসররা বসে নানা ষড়যন্ত্র করছে। এ নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই সাদাপাথর লুটের ঘটনায় সিলেট জামায়াতের দুই নেতাকে জড়ানো হয়েছে।’
তারা বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করছি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পরিবেশ সংগঠনের ব্যানারে আওয়ামী ফ্যাসিস্টের দোসররা নানাভাবে মাঠের রাজনীতিতে সক্রিয় হতে শুরু করেছে। তারা প্রতিনিয়ত জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও জুলাই যোদ্ধাদের নানাভাবে হেয় করছে। তাদের বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে মামলাও রয়েছে। অথচ তারা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অবাধে অংশ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র করছে। সাদাপাথরকাণ্ডে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে জড়ানো তাদের ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ। তাদের সব ধরনের অনুষ্ঠান থেকে বয়কট করতে হবে। জুলাই আন্দোলনে বিরোধিতাকারীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।’
সিলেট মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমির ড. নূরুল ইসলাম বাবুলের সভাপতিত্বে ও সহকারী সেক্রেটারি জাহেদুর রহমান চৌধুরীর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- মহানগর সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আব্দুর রব, সিলেট মহানগর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট জামিল আহমদ রাজু ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সিলেট মহানগরী সভাপতি শাহীন আহমেদ।