ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেছেন, ‘জুলাই নিয়ে চেতনাবাজরা যেন ব্যবসা করতে না পারে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। মানুষের অধিকার ক্ষুন্ন হয় এমন কোন কাজ করা যাবে না। এটাই জুলাই আন্দোলনের স্প্রিরিট। নিজে ন্যায় বিচার না পেলে অন্যায় হয়েছে এমন মনোভাব দূর করতে হবে। এই সংজ্ঞা যেন সব ক্ষেত্রে ঠিক থাকে। জুলাই শহীদদের আত্মদানের উদ্দেশ্য সবাইকে ধারণ করতে হবে। তাহলে সুন্দর বাংলাদেশ গঠন সম্ভব ‘
বুধবার বিকেলে জুলাই শহিদ দিবস উপলক্ষে জুলাই শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভায় তিনি সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
সভায় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মো: হাবিবুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা: রুবাইয়াত বিন করিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো: ইসমাইল হোসেন, শহীদ ইকরামুল হক কাউসারের বাবা মাওলানা আনোয়ার হোসেন, শহীদ সরোয়ার জাহান মাসুদের মা বিবি কুলসুম, শহীদ ইসতিয়াক আহমেদ শ্রাবণের বাবা নেছার আহমেদ, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখ সারির যোদ্ধা আবদুল কাইয়ুম সোহাগ, ওমর ফারুক, প্রিন্স মাহমুদ আজিম, আহত নাহিদুর রহমান।
এছাড়া রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল, জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট জামাল উদ্দিন, এবি পার্টির বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আলম বাদল, হেফাজতে ইসলামরে জেলা সেক্রেটারি মাওলানা ওমর ফারুক, খেলাফত মজলিসের সভাপতি মাওলানা মোজাফফর আহমদ জাফরী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস এর সাবেক সভাপতি মাওলানা জসিম উদ্দিন, ইসলামের আন্দোলনের সেক্রেটারি মাওলানা একরামুল হক।
পুলিশ সুপার মো: হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ফেনীতে চব্বিশের ৪ আগস্ট গণহত্যার ঘটনায় হত্যা সহ ২২টি মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেফতার হচ্ছে, জামিন হচ্ছে। গ্রেফতারের দায়িত্ব পুলিশের। আদালত থেকে তারা জামিন পান। ১০ মাস পরও আহতরা মামলা হচ্ছে। বিষয়গুলো প্রশ্নবিদ্ধ। অনেকের কাছ থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। অনেকের কল রেকর্ডও রয়েছে। কাউকে কাউকে আসামি করে বাদিরা অ্যাফিডেভিট দিচ্ছেন। বিষয়গুলো কাম্য নয়। এসব বিষয়ে মনিটরিং করা হচ্ছে। সতর্ক হয়ে যান।
সভায় জেলা প্রশাসন সহ বিভিন্ন সরকারি দফতরের কর্মকর্তা, শহিদ পরিবারের সদস্য, আহত জুলাই যোদ্ধাগণ, সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।
শুরুতে জুলাই শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। শহীদদের মাগফেরাত কামনা করে ও আহতদের সুস্থতা কামনায় মোনাজাত করা হয়।