মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখানের চন্দধূলে ৫শ’ টাকার লোভ দেখিয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে মো: সিয়াম মাঝির বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকালে ওই ছাত্রীর নমুনা সংগ্রহ ও জবানবন্দি গ্রহণ করার জন্য মুন্সীগঞ্জে পাঠিয়েছে সিরাজদিখান থানা পুলিশ। এর আগে ওই ছাত্রীকে স্বজনরা উদ্ধার করে বুধবার রাতে সিরাজদিখান থানায় নিয়ে যায়।
গত সোমবার দুপুরে সিরাজদিখান ইছাপুরা ইউনিয়নের চন্দনধূল গ্রামে এ ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ওই ছাত্রী (৮) সোমবার দুপুরে আম কুড়াতে বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ে যায়। ওই পুকুর পাড়ের পাশে রাজীব মিয়ার আম বাগানে আগে থেকে ওঁৎপেতে থাকে চন্দনধূল গ্রামের মোতালেব মাঝির ছেলে সিয়াম মাঝি। মাদরাসার ছাত্রীকে ৫শ’ টাকার লোভ দেখিয়ে তার সাথে আসতে বলে। ছাত্রী তার সাথে যেতে না চাইলে মো: সিয়াম মাঝি জোরপূর্বক আম বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করার চেষ্টা করছে ওই মাদরাসার ছাত্রীকে। পরে ছাত্রী বিষয়টি তার দাদী রিনা বেগমকে জানায়। পরে শিশুটিকে তার মা -বাবা ওই দিন সন্ধ্যায় সিরাজদিখান থানায় নিয়ে যান।
এ বিষয়ে এলাকার এরশাদ ঢালী বলেন, ‘দুই সপ্তাহ আগে সিয়াম মাঝিকে মাদরাসায় ও হাজী মাসুদ রানার বাড়ি চুরির ঘটনায় গ্রামবাসী একত্রে মিলে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছিল। রাজীব মিয়া ও রাজন মিয়া গংদের সহযোগিতায় জামিন নিয়ে এলাকায় এসে আবার চুরি ও গরীব মানুষের মেয়েদের ধর্ষণ শুরু করেছে। আমরা সিয়াম মাঝির কঠোর বিচার চাই। এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মো: সিয়াম মাঝি পলাতক রয়েছে।’
মাদরাসা ছাত্রীর বাবা বলেন, আমার শিশুকন্যাকে সিয়াম মাঝি ধর্ষণ করেছে। আমি এ ঘটনায় তার শাস্তি দাবি করছি।
সিরাজদিখান থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) শাহেদ আল মামুন বলেন, ‘এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ভিকটিমের জবানবন্দির জন্য মুন্সীগঞ্জ পাঠানো হয়েছে। পরে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’