ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ‘হাত পাখার বিজয় হলে দেশের বিজয় হবে, মানুষের বিজয় হবে।’
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গাইবান্ধা পৌর শহীদ মিনার চত্বরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ গাইবান্ধা জেলা শাখার উদ্যোগে এক গণসমাবেশে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি গাইবান্ধার পাঁচটি সংসদীয় আসনের মধ্যে তিনটি আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। এর মধ্যে গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনে প্রভাষক মোহাম্মদ আব্দুল মাজেদ, গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্যাপুর-পলাশবাড়ি) আসনে মাওলানা আওলাদ হোসেন ও গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ)আসনে মুফতি তৌহিদুল ইসলাম।
তিনি ইসলামী আন্দোলনের নির্বাচনী প্রতীক হাত পাখায় ভোট দেয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
গণসমাবেশে মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, ‘বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। আগে আওয়ামী লীগের লোকজন যে সুরে কথা বলতেন, সেই সুরেই বিএনপি নেতৃবৃন্দ কথা বলছেন। শুধু নেতার পরিবর্তন হয়েছে, নীতির পরিবর্তন হয়নি। আগে যে নামে চাঁদাবাজি হতো, শুধু নামের পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু চাঁদাবাজির পরিবর্তন হয়নি।’
তিনি দেশে ইসলাম বাস্তবায়নের জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
সংগঠনের জেলা সভাপতি প্রভাষক মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল মাজেদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) অ্যাডভোকেট এম. হাছিবুল ইসলাম, মুহাম্মদ আনওয়ার উল ইসলাম আরিফ, মো: মাহবুবুর রহমান, মুফতি মাহমুদুল হাসান কাসেমী, মুফতি সৈয়দ তৌহিদুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম, আহমাদ আলী, মোহা. আব্দুল মুত্তালিব মন্ডল, আমিনুল ইসলাম বুলবুল, হাফেজ মাওলানা মো: খায়রুজ্জামান, মো: আকরাম হোসেন, মো: আওলাদ হোসাইন, মো: আসাদুল্লাহ আল গালিব, আবুল কালাম আজাদ, ইঞ্জিনিয়ার শরিফুল ইসলাম শরিফ, শাহাজ উদ্দিন রিয়াদ প্রমুখ।
গণসমাবেশ পরিচালনা করেন সংগঠনের জেলা সেক্রেটারি মুফতি আল আমিন বীন হোসাইন।
বক্তারা গণহত্যার বিচার, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং দেশ ও ইসলাম বিরোধী সকল ষড়যন্ত্র চক্রান্তের প্রতিবাদ জানান।