উত্তরের কয়েকটি জেলায় অনবরত বৃষ্টিপাত আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি দ্রুতো বেড়ে বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে চলতি বছরই লালমনিরহাটে পঞ্চম দফায় বন্যার কবলে পড়ার আশঙ্কা করছেন লালমনিরহাটের তিস্তা পাড়ের মানুষ।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি হতে শুরু করে, লালমনিরহাটের তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে ১২ ঘণ্টায় সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে সন্ধা ৬টার দিকে বিপৎসীমার (৫২.০৩) প্রবাহিত হয় যা বিপদসীমার ৬ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল ও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে তবে যে কোনো সময় তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।
এতে করে তিস্তা ব্যারাজের পানির চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে ও ফ্ল্যাট বাইপাস সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিমুক্ত করতে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪ টি জলকপা পাঠ খুলে দেওয়া হয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারাগণ সার্বক্ষণিক নজরদারী করছেন।
উজানের দেশ ভারতে ভারী বৃষ্টিপাত বন্ধ না হলে আগামী ২৪ ঘণ্টা তিস্তার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। তিস্তা অববাহিকায় যেকোনো সময় বিপৎসীমা অতিক্রম করে বন্যা দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছন বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
লালমনিরহাট ৫ উপজেলার তিস্তা নদীর পার্শ্ববর্তী একারকার ২০টি নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
এদিকে তিস্তা নদী ফুঁসে উঠায় তিস্তাপাড়ের নিম্নাঞ্চল ও চরবেষ্টিত গ্রামে বসবাসকৃত কৃষক পরিবারের মাঝে চিন্তার ভাজ পড়েছে। গত আগস্ট মাসের ৪ দফায় তিস্তার বন্যায় এ সকল পরিবারের বোনা আমনধানের ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
পানি নেমে গেলে সেখানে তারা পুনরায় আমন চারা রোপন করেছে। এখন পুনরায় তিস্তায় বন্যাহানা দিলে কৃষক পরিবারগুলো পথে বসবে বলে তারা জানান।
পানি উন্নয়ন বোর্ড লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার বলেন, ‘বৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বাড়ছে। রোববার সন্ধা ৬টার দিকে ৩ তিন্তার ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে,তাই এসব অঞ্চলের জনগণকে সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে।