ফরিদপুর নগরকান্দার বিভিন্ন এলাকায় সার সঙ্কট দেখা দিয়েছে। একইসাথে সার পাচারেরও অভিযোগ উঠছে। সরকারি সার ডিলারদের মাধ্যমে সার পাচার ও অতিরিক্ত দামে বিক্রির অভিযোগ করেছেন কৃষকরা। ফলে সরকারি দামে সার না পেয়ে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বেশি দামে সার কিনতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। এতে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।
জানা যায়, নগরকান্দা উপজেলার কালিবাড়ি বাজারে গতকাল রাতে নসিমন ভর্তি অবৈধ সার জব্দ করা হয়। পরে এলাকার জনসাধারণ নছিমনটি আটক করে থানায় খবর দেয়। ঘটনায় ৪২ বস্তা সার জব্দ করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
আরো জানা যায়, ডিএপি সার ১,৩৫০ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা, অথচ তা বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে ১,৫০০ থেকে ১,৭০০ টাকা পর্যন্ত।
কৃষকরা জানান, সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় তাদের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এতে তাদের আয় কমে যাচ্ছে। ফলে সরকারের কাছে সারের দাম কমানোর জোর আবেদন জানিয়েছেন কৃষকরা।
পুরাপুরি ইউনিয়নের দফা গ্রামের কৃষক বাবুল মিয়া বলেন, ‘অসাধু ব্যবসায়ীরা সার পাচার ও কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে আমাদের কাছ থেকে সারের দাম বাড়িয়ে নিচ্ছেন। এ ব্যাপারে প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানোর দরকার।’
কাইচাইল ইউনিয়নের সুতারকান্দা গ্রামের কৃষক রমজান মিয়া বলেন, ‘সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের খুব সমস্যা হচ্ছে। আমরা বেশি দামে সার কিনতে বাধ্য হচ্ছি।’
দোকানদার মো: বিল্লাল তালুকদার বলেন, ‘সার সঙ্কটের কারণে আমরা বেশি দামে সার বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি। আমাদের কাছে সারের সরবরাহ কম তাই কৃষকদের বেশি দামে সার কিনতে হচ্ছে।’
এ বিষয়ে নগরকান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: রেজাউল করিম বলেন, ‘সারের সঙ্কট নেই। বেশি দাম নেয়ার বিষয়ে আমার জানা নেই। মেমোসহ অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।’



