বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘বগুড়া একক কোনো দলের ঘাঁটি হতে পারে না। আগামী নির্বাচনে বগুড়া হবে পুরোপুরি ইসলামের ঘাঁটি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো ব্যক্তি বা পরিবারের রাজনীতি করি না। জামায়াত গণমানুষের কল্যাণে রাজনীতি করে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোমর বেঁধে মাঠে নেমে বিজয় ছিনিয়ে আনতে দায়িত্বশীলদের আরো বেশি কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
সোমবার (১০ নভেম্বর) বগুড়ার কলোনীস্থ শাহওয়ালী উল্লাহ মিলনায়তনে বগুড়া শহর ও জেলার দায়িত্বশীলদের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘যাদের কাছে নিজ দলের নেতাকর্মী নিরাপদ নয় তাদের কাছে দেশ ও জাতি নিরাপদ থাকতে পারবে না। তারা নিজেরা নিজেদের নেতাকর্মীদের খুন করেছে। জামায়াত একটি কল্যাণ ও মানবিক বাংলাদেশ জাতিকে উপহার দিতে চায়। এজন্য আগামী নির্বাচনে জামায়াতকে রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ দিতে হবে। তবেই জাতিকে ক্ষুধা, দারিদ্র, বেকারত্ব, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজমুক্ত এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেয়া যাবে।’
বগুড়া-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন বলেন, ‘৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে কারা টেম্পু স্ট্যান্ড দখল করেছে, কারা দুর্নীতি করেছে, কারা চাঁদাবাজি করেছে, কারা মানুষের বাড়ি-ঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দখল করেছে তা জাতি জানে। আওয়ামী লীগ মানুষকে লগি-বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আরেকটি দল চাঁদা না পেয়ে মানুষকে পাথর দিয়ে থেঁতলে হত্যা করেছে। যেই হত্যার দৃশ্য পুরো বিশ্বকে কাঁদিয়েছে। নতুন বাংলাদেশ গড়তে তাদেরকে ব্যালটের মাধ্যমে রায় দিতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘জামায়াত ক্ষমতায় গেলে বেকারত্ব দূরীকরণে যুব সমাজকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা হবে। যুব নারী-পুরুষকে কর্মমুখী প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে প্রত্যেককে জাতীয় সম্পদে রূপান্তরিত করা হবে। বাংলাদেশকে শান্তির নীড় হিসেবে গড়ে তুলতে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে ভোট দিয়ে ইসলামী বিপ্লব ঘটাতে বগুড়ার দায়ত্বশীলদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
বগুড়া জেলা আমির মাওলানা আব্দুল হক সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বগুড়া অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রহিম, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম প্রমুখ।