বৈষম্যহীন ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জামায়াতে ইসলামী নেতার

ধর্ম বা রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে কাউকে নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা উচিত নয়। আমাদের ছাত্রদের স্লোগান ছিল ‘উই ওয়ান জাস্টিস, আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ।’ আমরা ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চাই।

সৈয়দপুর (নীলফামারী) সংবাদদাতা

Location :

Nilphamari
মাওলানা আব্দুল হালিম
মাওলানা আব্দুল হালিম |নয়া দিগন্ত

‘আমরা বিভক্তি-বিভাজনের বাংলাদেশ আর চাই না। আমরা সবাই বাংলাদেশী, সবাই নাগরিক’- এমন বক্তব্য দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম।

তিনি বলেন, ‘ধর্ম বা রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে কাউকে নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা উচিত নয়। আমাদের ছাত্রদের স্লোগান ছিল ‘উই ওয়ান জাস্টিস, আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ।’ আমরা ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চাই।’

আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌর কমিউনিটি সেন্টারের হলরুমে জামায়াতে ইসলামীর উপজেলা ও শহর শাখার দায়িত্বশীলদের নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে দুই শাখার বিভিন্ন ইউনিটের শতাধিক দায়িত্বশীল অংশগ্রহণ করেন।

সৈয়দপুর শহর আমীর শরফুদ্দিন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মাওলানা আব্দুল হালিম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চল টিম সদস্য আব্দুর রশিদ, নীলফামারী জেলা আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সাওয়ার।

শহর সেক্রেটারি মাওলানা ওয়াজদে আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা নায়েবে আমির ড. খায়রুল আনাম, জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক মাওলানা আন্তাজুল ইসলাম, জেলা মজলিসে শূরা সদস্য, সৈয়দপুর উপজেলা আমির হাফজে আব্দুল মুনতাকিম, নীলফামারী আসন পরিচালক ও ডিপ্লোমা প্রকৌশলী ফোরামের জেলা সভাপতি আখতারুজ্জামান বাদল।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, ‘ধর্মীয় পরিচয় বা রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে বহু তরুণ চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। বিএনপি সমর্থক, দাঁড়ি-টুপি পরিহিত কিংবা হিজাবধারী ছাত্রীরা মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে গিয়ে বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে এখন হিজাব নিয়ে স্লোগান ওঠে- এটাই প্রমাণ করে, তরুণরা আর বিভাজনের বাংলাদেশ চায় না।’

তিনি আরো বলেন, ‘জন আকাঙ্ক্ষা পূরণে জামায়াতে ইসলামীর সর্বস্তরের দায়িত্বশীলদের প্রস্তুত থাকতে হবে। বৈষম্যহীন, ঐক্যবদ্ধ, সমৃদ্ধ ও কল্যাণমুখী বাংলাদেশ গড়তে কাজ করতে হবে- যাতে জনগণ স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ পায়। আত্মমর্যাদায় উজ্জীবিত হয়ে স্বনির্ভর জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারি এবং নিজেদের কৃতিত্ব তুলে ধরতে পারি।’