বিএসএফের পুশইন

বড়লেখায় অনুপ্রবেশকালে ১০ রোহিঙ্গা আটক

সোমবার (২৮ জুলাই) ভোরে উপজেলার লাতু বিওপির আওতাধীন করমপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে নারী-শিশুসহ ১০ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশের সময় বিজিবি টহল দল তাদের আটক করে।

ফয়সাল আহমেদ, বড়লেখা (মৌলভীবাজার)

Location :

Barlekha
আটককৃত রোহিঙ্গারা
আটককৃত রোহিঙ্গারা |নয়া দিগন্ত

মৌলভীবাজারের বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে আবারো অবৈধভাবে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানোর (পুশইন) অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বিরুদ্ধে।

সোমবার (২৮ জুলাই) ভোরে উপজেলার লাতু বিওপির আওতাধীন করমপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে নারী-শিশুসহ ১০ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশের সময় বিজিবি টহল দল তাদের আটক করে। আটকদের মধ্যে রয়েছেন একজন পুরুষ, তিনজন নারী ও ছয় শিশু।

বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সীমান্তের করমপুর নামক এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করে রোহিঙ্গারা পাহাড়ি এলাকায় আশ্রয় নিলে সেখানেই বিজিবির টহল দল তাদের আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, তারা সকলেই কক্সবাজারের বিভিন্ন রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের বাসিন্দা ছিলেন। আনুমানিক পাঁচ বছর আগে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারত যান এবং সেখানকার বিভিন্ন এলাকায় কাজ করতেন। হঠাৎ করেই ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তাদের বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়ে দেয় বলে জানান তারা।

বিয়ানীবাজার ব্যাটালিয়নের (৫২ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আরিফুল হক চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানান, ‘বিজিবির নজরদারিকে ফাঁকি দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশীদের পুশইন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে বিএসএফ। সোমবার ভোরে লাতু বিওপির টহল দল করমপুর সীমান্ত থেকে ১০ জন রোহিঙ্গা নাগরিককে আটক করে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদের রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেছে। তাদের পরিচয় নিশ্চিত করতে বিভিন্ন রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের সাথে যোগাযোগ করা হয় এবং পরিচয় যাচাইসহ অন্যান্য তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে বড়লেখা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’

বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুব রহমান মোল্লা বলেন, ‘ভারত থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় আটক ১০ জন রোহিঙ্গাকে থানায় হস্তান্তর করেছে বিজিবি। যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’