মৈত্রী বন্ধন সভায় বক্তারা

দেশের জিডিপিতে চামড়া শিল্প অবদান রাখছে ০.৬০ শতাংশ

বিশ্ববাজারে চামড়াজাত পণ্যের বাজার প্রায় ৬৫০ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশের অবদান মাত্র ১ বিলিয়ন ডলার, যা ০.৫ শতাংশেরও কম।

মো: আজিজুল হক, গাজীপুর মহানগর
দেশের জিডিপিতে চামড়া শিল্প অবদান রাখছে ০.৬০ শতাংশ
দেশের জিডিপিতে চামড়া শিল্প অবদান রাখছে ০.৬০ শতাংশ |নয়া দিগন্ত

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রফতানিখাত চামড়া নিয়ে ‘চামড়া শিল্পে পরিবেশগত প্রভাব এবং আধিকার’ শীর্ষক এক ‘মৈত্রী বন্ধন সভা’ গাজীপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গাজীপুর সদর উপজেলা পরিষদের অফির্সাস ক্লাবে সোমবার (২৮ জুলাই) সকালে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু।

এতে বক্তব্য রাখেন- গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো: সোহেল রানা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল খায়ের, আকন্দ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার জাহিদ হাসান আকন্দ। এছাড়াও শিক্ষক, এনজিও ও সাংবাদিক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বক্তারা জানান, বাংলাদেশে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ২০২২-২৩ অর্থ বছরের আমদানি-রফতানি রিপোর্ট অনুযায়ী শিল্প আয়ে চামড়া খাত ২ শতাংশ এবং রফতানিতে ৩.৮ শতাংশ অবদান রাখছে। দেশের জিডিপিতে চামড়া শিল্প অবদান রাখছে ০.৬০ শতাংশ। বিভিন্ন সময়ে পরিচালিত সরকারি-বেসরকারি গবেষেণা মতে, বাংলাদেশে চামড়া শিল্পের সম্ভাবনা অপরিসীম। বর্তমানে ১০ লাখ মানুষের র্কমসংস্থানের ব্যবস্থা থাকলেও সংখ্যাটিকে ৩৫ লাখে উন্নীত করা সম্ভব। মানসম্মত চামড়া উৎপাদনরে সুযোগ থাকার পরও যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের মতো বড় দু’টি বাজার ধরতে পারছে না বাংলাদেশ। ফলে বাধ্য হয়ে চীনের কাছে কম মূল্যে বিক্রয় করতে হচ্ছে ক্রাস্ট লেদার।

বিশ্ববাজারে চামড়াজাত পণ্যের বাজার প্রায় ৬৫০ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশের অবদান মাত্র ১ বিলিয়ন ডলার, যা ০.৫ শতাংশেরও কম।

অন্যদিকে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে চামড়া শিল্পের প্রায় ৯৫ শতাংশ বর্জ্য থেকে টাইলস, বন্ডেড লেদারসহ বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন করে বছরে প্রায় ৪০০-৫০০ কোটি টাকা উর্পাজন সম্ভব।