কোটা বৈষম্য, প্রশ্ন জালিয়াতি, পরীক্ষার ফল প্রকাশে অনিয়ম ও নিয়োগ বাণিজ্যের প্রতিবাদে কোটা বিরোধী ঐক্যজোট দ্বিতীয় দিনের মতো মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছে।
আন্দোলনকারীরা সোমবার (২৪ নভেম্বর) সকাল থেকেই পরিষদের মূল ফটকসহ সব প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দুই দিন ধরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে।
শাটডাউন কর্মসূচির কারণে রাঙ্গামাটি জেলার গুরুত্বপূর্ণ এই প্রশাসনিক ভবনের দাফতরিক কাজ সম্পূর্ণ অচল হয়ে পড়েছে। পরিষদ ভবনের বাইরে বাড়ানো হয়েছে পুলিশি নিরাপত্তা। সাধারণ মানুষের আনাগোনা বন্ধ হয়ে পুরো এলাকা কার্যত অচলাবস্থায় রয়েছে। মূল ফটক বন্ধ, বাইরে পুলিশী প্রহরা এবং জনসাধারণের আনাগোনা বন্ধ হওয়ায় পুরো পরিষদ এলাকাই এখন অবরুদ্ধ।
আন্দোলনকারীরা জানান, নভেম্বর মাসের মধ্যে শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্নসহ ৬ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ কমপ্লিট শাটডাউন চলমান থাকবে। অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন সদস্য মো: জনি, মো: ইমরান রুবেল, ইফতেখার রুবেল, রাকিব হাসানসহ অন্যান্য নেতারা।
এদিকে, গত সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস রিলিজে কোটাবিরোধী ঐক্যজোট জানায়, ২৪ নভেম্বর থেকে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে তাদের কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি শুরু হয়েছে, যা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত চলবে।
২৫ নভেম্বর সকাল ৯টা থেকেই আন্দোলনকারীরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।
তাদের ৬ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-
১) ৭% কোটা ও ৯৩% মেধার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিত করা।
২) প্রশ্নফাঁস রোধে কেন্দ্রীয়ভাবে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন।
৩) প্রশ্নপত্র ট্রেজারিতে সংরক্ষণ ও পরীক্ষা শুরুর আগে সংগ্রহ।
৪) খাতা মূল্যায়ন জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন করা।
৫) নিয়োগ পরীক্ষার আগে উপজেলা ভিত্তিক কোটা প্রজ্ঞাপন প্রকাশ।
৬) পরীক্ষা শেষে প্রার্থীদের রোল, নাম ও ঠিকানা প্রকাশ বাধ্যতামূলক করা।
আন্দোলনকারীরা বলেন, ‘স্বচ্ছ, বৈষম্যহীন ও দুর্নীতিমুক্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠাই তাদের মূল লক্ষ। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শাটডাউন অব্যাহত থাকবে বলেও তারা হুঁশিয়ারি দেন।



