ফরিদপুরের নগরকান্দা ও সালথায় পাট কাটা, জাগ দেয়া ও পাটকাঠি থেকে আঁশ ছাড়ানোর কাজ শেষ করেছেন কৃষকরা। চলছে বেচাকেনা। এবার পাটের ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় কৃষক খুশি। পাটের ভালো দাম পাওয়ার জন্য পলিথিন বন্ধেরও দাবি জানান তারা।
পাট চাষ বৃদ্ধি করে পাট থেকে বিভিন্ন তৈরি পণ্য ব্যবহার করলে পলিথিন ব্যবহারে পরিবেশ দূষণ থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকরা পাট শুকানো শেষ করে পাট ঘরে তুলছে। আবার বিক্রির জন্য বিভিন্ন হাট-বাজারে নসিমনভ্যানে করে নিয়ে যাচ্ছে। চলতি বছর পাটের চাহিদা ও দাম ভালো থাকায় লাভবান হচ্ছেন তারা।
স্থানীয় কৃষি অফিস জানায়, নগরকান্দা ও সালথার মাটি পাট চাষের উপযোগী। পাটের ফলন ভালো হওয়ায় এ এলাকার কৃষকরা দিন দিন পাট চাষে ঝুঁকছে।
নগরকান্দার পুড়াপাড়া ইউনিয়নের দফা গ্রামের পাটচাষি আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘এ বছর আমি আট বিঘা জমিতে পাটের চাষ করেছি। উৎপাদন খরচ হয়েছে প্রায় ৮০ হাজার টাকা। আমি সরকার থেকে কোনো ধরনের প্রণোদনা পাইনি। ফলন হয়েছে বিঘা প্রতি ১২ থেকে ১৪ মণ। চার হাজার ২০০ টাকা মন ধরে বিক্রি করেছি। খরচ বাদে আয় হয়েছে তিন লাখ ২০ হাজার টাকা। পাটকাঠি পেয়েছি প্রায় ১৪০ মন। পাটকাঠির দামও ভালো। বিক্রি হচ্ছে মণ প্রতি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা দরে। গত বছর চাষ করেছিলাম পাঁচ বিঘা জমিতে। আগামী বছর ১০ বিঘা জমিতে পাট চাষের ইচ্ছা রয়েছে।’
সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের সোনাতন্দি গ্রামের পাটচাষি কাজী আবু বক্কার বলেন, ‘তিন বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৩৬ মণ। বিক্রি করেছি চার হাজার ১০০ টাকা দরে। পাটকাঠি হয়েছে প্রায় ৪৫ মন। ইচ্ছা আছে আগামী বছর আরো বেশি করে পাটের আবাদ করার।’
এ বিষয়ে নগরকান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তিলক কুমার ঘোষ জানান, এ বছর দুই উপজেলার পাট চাষিরা রবি-১ মহারাষ্ট্র, জেআরও-২৪ জাতের পাটের চাষ করেছেন ২৩ হাজার ৭৩৬ হেক্টর জমিতে।