বরগুনার আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের পাতাকাটা গ্রামে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী সাজেদা বেগমকে (৫৫) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী তৈয়ব হাওলাদারের (৬৫) বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন তিনি।
শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৩০ বছর আগে গুলিশাখালী ইউনিয়নের আঙ্গুলকাটা গ্রামের মরহুম মোক্তার আলী খানের মেয়ে সাজেদা বেগমের সাথে পাতাকাটা গ্রামের মরহুম লতিফ হাওলাদারের ছেলে তৈয়ব হাওলাদারের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দু’টি মেয়ে রয়েছে। তারা দু’জনই বিবাহিত। দাম্পত্য জীবনে শুরু থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কলহ চলছিল। শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তৈয়ব হাওলাদার একটি গাছের ভারী ডাল দিয়ে স্ত্রী সাজেদাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। এতে তার দু’টি হাত ভেঙে যায়, মাথা ফেটে রক্তাক্ত জখম হয়। এছাড়াও নাক-মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। পরে রাত ১০টার দিকে আহত অবস্থায় তৈয়ব নিজেই স্ত্রীকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। মেয়ের হাতে তিন হাজার টাকা দিয়ে পালিয়ে যান। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাত দেড়টার দিকে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে সাজেদা বেগম মারা যান।
মেয়ে মরিয়ম বেগম জানান, আমার বাবার রাগ খুব বেশি। তিনি সব সময় মাথা গরম করে থাকেন। তিনি কেন আমার মাকে এভাবে মারলেন, তা আমরা বুঝতে পারছি না।
ডা: লুনা বিনতে হক জানান, সাজেদা বেগমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল।
এ বিষয়ে আমতলী থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী তৈয়ব হাওলাদারকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’