গুলি করে হত্যা করা রহমানের লাশ ৩ দিনেও ফেরত দেয়নি বিএসএফ

এ ঘটনায় বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে তিন দফায় পতাকা বৈঠক হলেও লাশ হস্তান্তর করতে রাজি হয়নি ভারত।

আবদুল কাদের তাপাদার, সিলেট ব্যুরো

Location :

Sylhet
সিলেট সীমান্তে বাংলাদেশী যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে বিএসএফ
সিলেট সীমান্তে বাংলাদেশী যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে বিএসএফ |নয়া দিগন্ত

সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ডোনা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশী যুবক আব্দুর রহমানের (৩৭) লাশ তিন দিনেও ফেরত দেয়নি বিএসএফ। লাশটি ভারতের একটি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে তিন দফায় পতাকা বৈঠক হলেও লাশ হস্তান্তর করতে রাজি হয়নি ভারত।

শনিবার (৩০ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে সর্বশেষ পতাকা বৈঠকে বিএসএফ জানায়, নিহত আব্দুর রহমানের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য তারা নিজেদের হেফাজতে নেবে এবং কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে লাশ ফেরত দেয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

কানাইঘাটের ইউএনও তানিয়া আক্তার রোববার (৩১ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় নয়া দিগন্তকে জানান, ‘বিএসএফের গুলিতে নিহত আব্দুর রহমানের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ভারতীয় পুলিশ নিয়ে গেছে। লাশ বর্তমানে ভারতের একটি হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। ভারতীয় পুলিশ আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্নের পর বিএসএফের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিজিবিকে অবহিত করবে। পরে কানাইঘাট থানা পুলিশ লাশ গ্রহণ করবে। এই প্রক্রিয়ায় যে সময় দরকার সেটা তো লাগবে। তারপর লাশ ফিরে আসবে।’

কানাইঘাট উপজেলার লক্ষ্মীপ্রাসাদ পূর্ব ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার নুরুল ইসলাম রোববার সন্ধ্যা ৭টায় নয়া দিগন্তকে জানান, নিহত নুরুল ইসলামের লাশ তিন দিনেও হস্তান্তর হয়নি। লাশটি ভারতের হাসপাতালে ফ্রিজআপ করা হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (২৯ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে কানাইঘাট বড়চাতল পূর্ব গ্রামের মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে আব্দুর রহমান ভারতীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চোরাচালানের মহিষ কিনে কয়েকজন সহযোগীকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশে ফিরছিলেন। এ সময় আন্তর্জাতিক পিলার নং ১৩৩৮-৩৯-এর মধ্যবর্তী স্থানে ভারতের প্রায় ৩০০ গজ ভেতরে হঠাৎ করে বিএসএফ সদস্যরা তার ওপর গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান আব্দুর রহমান।

আটগ্রাম ক্যাম্পের বিজিবি গোয়েন্দা তথ্যে বিষয়টি জানতে পারলেও শুক্রবার রাত বেশি হয়ে যাওয়ায় পরের দিন শনিবার বিএসএফের সাথে যোগাযোগ করে নিহতের লাশ ফেরতের দাবি জানায়। প্রথমে বিএসএফ আশ্বাস দিলেও পরে আইনগত জটিলতা দেখিয়ে লাশ হস্তান্তর করতে রাজি হয়নি তারা।