মোখলেছুর রহমান সবুজ, ত্রিশাল (ময়মনসিংহ)
ময়মনসিংহের ত্রিশালে বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত আরো ১১ জন। তাদের মধ্যে আটজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল সদর ইউনিয়নের রাঙামটি নামক জায়গায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একটি মোটরসাইকেলকে জায়গা দিতে গিয়ে ঢাকাগামী ইসলাম পরিবহনের একটি বাসের সাথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় বাস ও ট্রাকের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। দুর্ঘটনায় গাড়িতে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন এক যাত্রী। তবে তার পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় আরো ১১ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে আশঙ্কাজনক আটজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সচালক না থাকায় হাসপাতালের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ সময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে ফোনেও পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে এক ঘণ্টা পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল বাকিউল বারীর সহায়তায় অ্যাম্বুলেন্সযোগে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আহতরা হলেন- ফুলবাড়ীয়া উপজেলার রাধাকানাই গ্রামের সামিয়া (২০), সদর উপজেলার পাটিয়ালি গ্রামের মুরসালিন (২০), ত্রিশাল সদর ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন (৬০), সদর উপজেলার মেহেদী হাসান (৩৫), বইলর মুন্সিপাড়া গ্রামের শামীম (৪৫), বইলর বাঁশকুড়ি গ্রামের আব্দুল্লাহ আল মামুন (৪০), মুক্তাগাছা উপজেলার পায়াকান্দি গ্রামের রাজন (৩০), মুক্তাগাছা উপজেলার মুজাহাটি গ্রামের মুর্শিদা (৩০), ভালুকা উপজেলার বহুলী গ্রামের আ: রশিদ (৫০), টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল এলাকার সুরুজ আলী (৫০), কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার উবায়দুল (৩৫)।
ত্রিশাল উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের সাব-স্টেশন অফিসার ফজলুল হক জানান, ‘আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’