সিলেটের সবচেয়ে বড় পাবলিক হাসপাতাল ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দালাল নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো: সারওয়ার আলম। তিনি বলেছেন, এই হাসপাতালে এখন থেকে কোনো দালাল ঢুকতে পারবে না। যারা ঢুকতে চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোনো ক্লিনিক যদি এখান থেকে রোগী ভাগিয়ে নিতে চায় তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে হাসপাতাল আকস্মিক পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি হাসপাতালের পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকতাদের সাথেও কথা বলেন।
সিলেট বিভাগের প্রধান চিকিৎসাকেন্দ্র এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সেবা ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সিলেটের জেলা প্রশাসক মো: সারওয়ার আলম হাসপাতালটি পরিদর্শনে যান।
সারওয়ার আলম এ সময় সাংবাদিকদের বলেন, ওসমানী হাসপাতালের সেবা কিভাবে আরো উন্নত করা যায়- এ নিয়ে আমরা কাজ করছি। এই হাসপাতালকে অল্প সময়ের মধ্যে সিলেট অঞ্চলের মধ্যে একটি ভালো হাসপাতালে পরিণত করতে চাই।
ওসমানীতে কয়েকটা চ্যালেঞ্জ আছে জানিয়ে তিনি বলেন, এটি ৯০০ শয্যার হাসপাতাল। কিন্তু জনবল আছে ৫০০ শয্যার। অথচ এখানে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে তিন চারগুণ বেশি রোগী থাকে। আজকেও প্রায় ২৭০০ রোগী ভর্তি আছে। রোগীদের সাথে অ্যাটেনডেন্ট থাকে ৩-৪ জন। এতো বিপুলসংখ্যক লোক থাকলে তো সেবা দেয়া যায় না। সেবায় ব্যাঘাত ঘটে।
জেলা প্রশাসক বলেন, এখানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার সমস্যা আছে। আগে একদিন রাতে এসেছিলাম। তখন দেখেছি অনেক অপরিষ্কার। আমি চেষ্টা করব প্রতি সপ্তাহে বা ১৫ দিনে একবার নিজে এখানে আসতে।এবং না বলে আসতে। যাতে এখানকার প্রকৃত পরিবেশ বুঝতে পারি।
হাসপাতালে গাড়ি পার্কিংয়েরও সমস্যা আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সমস্যাগুলো চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি। এরপর এগুলো সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হবে। একটু সময় লাগবে। তবে সবাই মিলে চেষ্টা করলে অল্প সময়ের মধ্যে ওসমানীকে একটি ভালো হাসপাতালে পরিণত করা সম্ভব।
পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক হাসপাতালের পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন। তিনি বলেন, আমরা হাসপাতালের নানা সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছি। সমস্যাকে চিহ্নিত করে এই হাসপাতালকে আরো উন্নত করার চেষ্টা করা হবে।