গণহত্যা মামলার আসামি আ’লীগ নেতাকে গণধোলাই

এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার বুড়ো বাপকেও তুই ছাড়িসনি, তাকেও মারতে গেছিস।’

খুলনা ব্যুরো

Location :

Khulna
নয়া দিগন্ত

গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে থাকা মামলাসহ একাধিক মামলার আসামি বেগ লিয়াকত আলীকে (৭০) গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে সাধারণ জনগণ। লিয়াকত আলী কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের খুলনা মহানগর সহ-সভাপতি ও খানজাহান আলী থানার সাবেক সভাপতি।

শনিবার (১৪ জুন) দুপুরে খুলনা মহানগরীর ফুলবাড়ীগেট বাজারে তাকে পেয়ে মারধরের পর খানজাহান আলী থানায় সোপর্দ করা হয়।

লিয়াকত আলীর বাড়ি নগরীর বাদামতলা পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে বলে জানা গেছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মাটিতে বসা বেগ লিয়াকত আলীর জামার কলার ধরে আছেন এক ব্যক্তি। এদিকে বিভিন্ন সময় স্থানীয়দের ওপর তার করা নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে গালাগাল করছেন কয়েকজন। এছাড়া এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার বুড়ো বাপকেও তুই ছাড়িসনি, তাকেও মারতে গেছিস।’ এ সময় কয়েকজন তাকে মারধর করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৫ আগস্টের পর বেগ লিয়াকত আলীর বিরুদ্ধে খুলনার দিঘলিয়া, দৌলতপুর, খানজাহান আলী ও ঢাকা সাভার থানায় বেশ কয়েকটি মামলা হয়। সেগুলোর মধ্যে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একটি মামলাও রয়েছে। গত ১৩ মে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণার পরের দিন তিনি আদালতে জামিন নিতে গেলে পুলিশ সেখান থেকে তাকে আটক করে। ঈদের সপ্তাহখানেক আগে তিনি জামিনে মুক্ত হন। সেই থেকে বাড়িতেই থাকতেন তিনি।

এদিকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন তিনি জোরপূর্বক নগরীর ফুলবাড়িগেট বাজার বণিক সমিতির সভাপতি পদ দখলে রেখেছিলেন বলে জানা গেছে। বাজারের সাধারণ ব্যবসায়ীসহ আওয়ামী লীগের সমর্থক ব্যবসায়ীরাও নির্বাচনের দাবি জানালে তিনি তাতে কর্ণপাত করেননি।

নগরীর খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, ‘বেগ লিয়াকত আলীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আত্মগোপনে ছিলেন। শনিবার দুপুর ১টার দিকে স্থানীয়রা লিয়াকত আলীকে আটক করার খবর দেয়। পরে তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে ভর্তি করা হয়েছে।’